ভ্যাপসা গরমের পর বর্ষায় হাফ ছেড়ে বাঁচে মানুষ৷ কিন্তু চুলের হাল একদমই ভালো থাকে না৷ এ সময়ই সবচেয়ে বেশি চুল ওঠে ও চুলে বিভিন্নরকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- চুল পড়া, খুসকি, স্ক্যাল্পে ঘামাচি ইত্যাদি৷ তাই এ সব সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় জানা দরকার। বর্ষাকালে আবহাওয়া গুমোট হওয়ার কারণে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এই ঘাম থেকে খুশকি ও চুল পড়তে থাকে। ঘামে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। তাই কোনোভাবেই চুলের গোড়া ভেজা রাখা যাবে না। বর্ষায় চুলের বাড়তি যত্ন নিতে ৯টি টিপস-

চুল শুষ্ক রাখুন

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টির পানি অ্যাসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। মনে রাখতে হবে চুলের গোড়া শুকনো থাকলে কোনো সমস্যাই থাকবে না।  

হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে।  

গোসল করে নিন

বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে।

ভেজা চুল

বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। নয়তো চুলের গোড়ায় ফাংগাস হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা থাকে। ভেজা চুল আগাফাটার জন্য দায়ী। তাই ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানোই ভালো। চুল ভেজা অবস্থা বাঁধবেন না। এটা চুলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষে শুকানোর চেষ্টা করলে চুলের ক্ষতি হয়। এর পরিবর্তে বরং পেঁচিয়ে বাড়তি পানি শুষে নিন।  

সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই পণ্য ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।  

প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”। কাঠবাদাম, কুমড়োর বিচি, ডিম, তৈলাক্ত মাছ, ডাল, দই ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।

অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।  

হেয়ার মাস্ক

সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এবং সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে নিন ভালো করে। এ তেলের মিশ্রণটি লাগানোর পর অন্তত ৫ মিনিট ম্যাসেজ করে নেবেন। খোঁপা করে রাখুন। এভাবে ২ঘণ্টা রাখুন ও চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করে নিন।  

অয়াটারপ্রুফ রেইন কোট কিনুন হুডিসহ

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ রেইন কোট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন।