
সবাই বাইরের চাকচিক্যই দেখে। প্রাচুর্য দেখে। ভেতরের রক্তক্ষরণ দেখে না। হলিউড তারকাদের জীবনের স্বপ্ন দেখে কতজনই। কিন্তু হলিউড যে স্বর্গোদ্যান নয়; কখনো কখনো কী ভীষণ নরক, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন কেট হাডসন। বলেছেন, হলিউড পারলে ছিঁড়েখুঁড়ে একেবারে নিংড়ে সবটুকু বের করে নেয়।
নিউইয়র্কে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর নারী সম্মেলনে বক্তব্য দিতে এসে এই অভিনেত্রী নিজের মায়ের অভিজ্ঞতার কথাও বললেন। হাডসনের মা গোল্ডি হন নিজেও তারকা। ছোটবেলা থেকেই রুপালিজগতের নারীদের কষ্টের জীবন দেখে এসেছেন। কখনো কখনো এই জগৎটাকে ছোট্ট হাডসন ভীষণ ঘৃণাও করতেন।
৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘হলিউড এমন এক জায়গা, যেখানে সবাই আপনাকে মাথায় তুলে নেবে; আবার পরে ঠিকই একেবারে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেবে।’ নিজের শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেছেন, তাঁর মাকে কাজে নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন গাড়ির চালক আসত, তিনি তো আর অতশত বুঝতেন না। এতটুকু বুঝতেন, এই গাড়িচালক লোকটা মাকে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে! যেখান থেকে ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হয় মায়ের। কখনো কখনো রাত পেরিয়ে ভোর। এ কারণে সেই চালককে ভীষণ ঘৃণা করতেন হাডসন।
তবে তাঁকে শেখানো হয়েছে, মা এমন একটা কাজ করছেন, যেটা নারীদের কাজের সুযোগ আর পথ তৈরি করে দেবে। বলা বাহুল্য, এরপর জেনেবুঝেই সেই কাঁটা বিছানো পথে এসেছেন হাডসনও। তবে মনে করিয়ে দিয়েছেন, হলিউডে পুরুষদের চেয়ে নারী কর্মীদের আত্মত্যাগ কত গুণ বেশি। ফিমেল ফার্স্ট।