
আরে ওনারে তো চিনি, নাটক করেন। এইখানে কি শুটিং নাকি!’ খানিকটা আপন মনে কথাগুলো বলেই ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে গেলেন কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে। কিন্তু লোকজনের ভিড়ে শুটিং দেখা দায়। তাই আরেকটু আরাম করে দেখার আশায় কয়েক ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে দাঁড়ালেন টিসিবি ভবনের সামনের জায়গাটায়। দেখতে লাগলেন উৎসাহী চোখে। সম্ভবত কোথাও যাচ্ছিলেন ভদ্রলোক। জানা গেল, এই ভবনেই একটি কাজে এসেছিলেন; কিন্তু শুটিং দেখে আটকে গেছেন। তাঁর সামনেই মোটরবাইক থেকে নামলেন তারিক আনাম খান। নেমেই উল্টো দিকে দৌড়। ঠিক ক্যামেরা বরাবর। তাঁর দৌড়ানো দেখে সিঁড়িতে দাঁড়ানো ভদ্রলোকের মুখে হাসি। হাসতে হাসতে বললেন, ‘ওনারে কিছুদিন আগে এক নাটকে দেখলাম। লেখক ছিলেন। নাটকের শেষে তিনি মারা যান।’
গতকাল সোমবার কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেল ও টিসিবি ভবনের মাঝের রাস্তায় শুটিং চলছিল মাহমুদ দিদারের নতুন নাটক উড়াল প্রেম-এর। সকাল থেকেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তারিক আনাম খান ও সোনিয়া হোসেন। কথা প্রসঙ্গে তারিক আনাম বললেন, ‘কারওয়ান বাজার এলাকায় শেষ কবে শুটিং করেছি মনে পড়ে না। লোকজনের ভিড়ে একটু কষ্ট তো হচ্ছেই। তবে গল্পটি ভালো, তাই খারাপ লাগছে না।’
সোনিয়ারও কারওয়ান বাজারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই। বেশ কষ্ট হচ্ছে এটা বোঝা গেল। নাটকে তিনি এই এলাকারই এক ভাড়াটে খুনি। চরিত্রটি ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে মেকআপে আনতে হয়েছে আমূল পরিবর্তন। সোনারগাঁও হোটেলের সামনের রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে অভিনয় করলেন সোনিয়া। শট শেষ করেই দিদার দলবল নিয়ে ছুটলেন তেজগাঁও রেললাইন ও স্টেশনে। সেখানেও চলল দৃশ্য ধারণ। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘আজকের ওয়েদারটা দারুণ। এমন ওয়েদারে বাইরে শুটিং করলে কষ্ট কম হয়।’
দিদার জানালেন, আসছে ঈদেই প্রচার করা হবে উড়াল প্রেম। এই দুজনের সঙ্গে আরও অভিনয় করছেন আফরান নিশো। নাটকে তিনি রিকশা পেইন্টার। কারওয়ান বাজারকেন্দ্রিক এমন তিনটি চরিত্র নিয়েই এগিয়েছে গল্প।