আমরা দু’ধরনের উৎস থেকে ফ্যাট গ্রহণ করে থাকি। এগুলো হলো প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ।  

প্রাণিজ :

ঘি, মাখন, মাছের তেল ইত্যাদি। এগুলোয় অ্যাসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড কম থাকে। সবচেয়ে বেশি থাকে ভিটামিন-এ, ডি এবং ক্যালসিয়াম।  

উদ্ভিজ্জ :

সর্ষের তেল, বাদাম তেল, জলপাই তেল, তিলের তেল, সূর্যমুখী বীজের তেল, নারকেল তেল ইত্যাদি। এগুলোয় বিভিন্ন ধরনের অ্যাসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় গুণগত মানে প্রাণিজ ফ্যাট থেকে উন্নত মানের। তেল-চর্বি থেকে পাই ভিটামিন-এ, ডি, ই এবং কে।  

যতটুকু খাবেন :

ফ্যাট খাওয়া নিয়ে আতঙ্ক সবার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, আমাদের প্রতিদিন যে পরিমাণ শক্তি বা ক্যালরি প্রয়োজন, তার ১৫ থেকে ৩৩ শতাংশ সংগ্রহ করা উচিত তেল-চর্বি থেকে, গড়ে যা দাঁড়ায় ২৫ শতাংশে। এ জন্য পূর্ণবয়স্কের গড়ে যদি রোজ ২ হাজার ৪০০ ক্যালরির মতো লাগে, ২৫ শতাংশ হিসেবে তাকে সংগ্রহ করতে হবে ৬০০ ক্যালরি ফ্যাট জাতীয় খাদ্য থেকে। এ জন্য তাকে দৈনিক খেতে হবে ৬০০/৯.৬ গ্রাম ফ্যাট বা তেল-চর্বি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ গ্রাম ফ্যাট বিভিন্ন খাদ্যশস্য, শাকসবজি ও ফলমূল থেকেই পাই। বাকি ২৫-২৭ গ্রাম সংগ্রহ করতে হয় তেল-ঘি-মাখন থেকে। এ জন্য রোজ ১০ থেকে ১৫ চা-চামচ তেল আমাদের প্রয়োজন। মাথাপিছু ৫-৭ চা চামচের বেশি ফ্যাট খাই না আমরা। কাজেই তেল খেয়ে অসুস্থ হওয়ার আতঙ্কে ভোগার কারণ নেই।  

যে কারণে বেশি খাবেন না :

তবে অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরের পে ভালো নয়। রক্তে কোলেস্টেরল নামে মোমের মতো এক ধরনের পদার্থ থাকে। বেশি তেল-চর্বি খেলে এটির পরিমাণ বেড়ে যায়। রক্তনালিতে পলির মতো স্তর পড়ে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। শীর্ণ হয় রক্তনালি, অবরুদ্ধ হয়। এতে রক্তনালির বিভিন্ন অসুখ এবং হৃদরোগ দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে দেহের ওজন বাড়ে, হার্ট ও ব্লাড প্রেসারজনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।