ko7yl কোনো অপরাধ না করেও বফর্স বিতর্কে নিজের ও পরিবারের নাম ওঠায় ২৫টি বছর ধরে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, বললেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর অস্তিত্বই সঙ্কটে পড়েছিল বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি। নিজের ব্লগে তিনি লিখেছেন, আমার পরিবার, আমাকে যখন বফর্স কেলেঙ্কারিতে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল, আমাদের বেঁচে থাকার প্রতিটি মূহূর্ত ঘিরেছিল সবচেয়ে অন্ধকারের রং। ২৫ বছর বাদে আদালত সত্যটা প্রকাশ্যে আনলেন…বচ্চনদের নাম ‘জড়ানো হয়েছিল’!! ২৫ বছর পর!! ৭৩ বছর বয়সি অমিতাভের মত, প্রযুক্তির যুগে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা খুবই সহজ এবং লোকে প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে, যাচাই করে দেখার প্রয়োজনও বোধ করে না। তিনি লিখেছেন, বিতর্ক সবচেয়ে দ্রুত ছড়ায়। আর তাতেই বিশ্বাস করে লোকে, সমুদ্রগর্ভে সূক্ষ্ম তারের মধ্য দিয়ে বা আকাশপথে স্যাটেলাইটে সঞ্চারিত তথ্যের বানে। এক অপ্রতিহত মরুঝড়ে শুধু যুক্তি, বিচারবোধের দৃষ্টিই আচ্ছন্ন হয় না, সভ্য মানসিকতার ভিতটাই ধ্বংস হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে ২০১২ সালে অমিতাভ ক্লিনচিট পান। তাঁকে দীর্ঘ সময় ‘মিথ্যা, প্রতারণা’-র বোঝা মাথায় নিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লিখেছেন, যখন ব্যাপারটা সামনে এল, আমার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হল। কী বলা যায়, কী বলা উচিত তখন? ২৫ বছরের কষ্ট কি মুছে দেওয়া যায়? অসম্মানের কালি কি তুলে দিতে পারবে ওরা!