শিশুর ত্বক স্বভাবতই কোমল ও সেনসিটিভ। এ ত্বকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। যেমন গোসলের ওপর শিশুর ত্বকের ভালো-মন্দ নির্ভর করে। সদ্যোজাত শিশুর জন্মের প্রথম দুই সপ্তাহ হালকা গরম পানিতে স্পাঞ্চ করিয়ে দেয়াই ভালো। কখনোই খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা পানিতে শিশু বড় হয়ে গেলেও গোসল করানো যাবে না। তবে সামান্য উষ্ণ পানিতে গোসল করানো ভালো। এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে শ্যাম্পু করানোর বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই। তবে শিশুর মাথায় যদি খুব বেশি চুল থাকে বা খুশকি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। শিশুর শুষ্ক ত্বকের জন্য ডিটারজেন্টযুক্ত সাবানের পরিবর্তে অলিভ বা পামঅয়েলযুক্ত বিশেষভাবে তৈরি বেবি সোপ শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। শিশুর ত্বক যদি রুক্ষ হলে গোসলের পর বেবি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করা যাবে। তবে এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। আবার ভেজা বা নোংরা ন্যাপি শিশুকে পরিয়ে রাখলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ফলে ন্যাপি র‌্যাশ হয়। তাই সতর্কতা প্রয়োজন। দিনে কয়েক ঘণ্টা শিশুকে ন্যাপি না পরিয়ে রাখতে যাবে। ন্যাপি র‌্যাশ দেখা দিলে জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত ক্রিম লাগাতে হবে। মনে রাখবেন শিশুকে তেল মাখাতেই হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তবে ম্যাসাজ করলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত। শিশুর হাতের আঙুলে তেল না মাখানো ভালো। কারণ সেই হাত শিশু চোখেমুখে দিতে পারে। শরীরের যে জায়গায় ন্যাপি র‌্যাশ আছে বা ইনজেকশন দেয়া হয়েছে, সেই জায়গায় তেল না লাগানো ভালো। কড়া রোদ শিশুর ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শিশুকে রোদে বের না করাই ভালো। স্কুলে যায় যেসব শিশু, রোদের মধ্যে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সান ব্লক ক্রিম লাগাতে হবে।