87 চুল ও ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহার করা যায় এই খাবার। দইয়ের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করা যায় নানারকম সৌন্দর্যচর্চার উপাদান। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে কিছু পদ্ধতি এখানে দেওয়া হল। খুশকি দূর করতে: দইয়ের সঙ্গে খানিকটা লেবুর রস এবং এক চিমটি লবণ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে তা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেললেই পার্থক্য চোখে পড়বে। তাছাড়া মাথার ত্বকের শুষ্কভাব দূর করতে দইয়ের সঙ্গে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মাথার ত্বক আর্দ্র হবে এবং খুশকিও কমবে। প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর: দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের পোড়া দাগ ও লালচেভাব দূর করে ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করে। ওটমিল পাউডার এবং ডিমের সাদা অংশ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাবার। সপ্তাহে দুবার ব্যবহারেই ত্বকের প্রেমে পড়ে যাবেন নিজেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে: প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে পরিচিত দই। রোদেপোড়া ত্বকের কালচেভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে দই। আরও ভালো ফলাফল পেতে কমলার খোসা মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের রং উজ্জ্বল হবে। দইয়ে থাকা জিঙ্ক রোদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য: শুধু শীতেই ঠোঁট ফাঁটবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। গ্রীষ্মেও ঠোঁট আর্দ্রতা হারায়। সামান্য জাফরানের সঙ্গে দই মিশিয়ে ঠোঁটে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট আর্দ্রতা ফিরে পাবে। উপরের সবগুলো পদ্ধতির ক্ষেত্রে টক দই ব্যবহার করতে হবে।