
‘চুলগুলো যদি টান দিয়ে সোজা করে ফেলতে পারতাম!’
ঢেউখেলানো, কোঁকড়া চুলের মানুষের মুখে প্রায়ই এমনটা শোনা যায়। তাই চুল সোজা করার আশায় পারমানেন্ট স্ট্রেট করাচ্ছেন অনেকেই। যাঁরা ওই রাস্তায় যাচ্ছেন না, হেয়ার স্ট্রেইটনারের শরণাপন্ন হচ্ছেন দিনের পর দিন। হেয়ার স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল সোজা করছেন, সোজা করার পর আবার কোঁকড়া হচ্ছে। যেটাই করা হোক না কেন, চুলের কিন্তু বারোটা বেজে যাচ্ছে। তাই হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারের আগে মেনে চলুন নিচের নিয়মগুলো।
১. প্রতিদিন হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই সেটা বন্ধ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি এটা ব্যবহার না করাই ভালো। খুব বেশি দরকার হলে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞরা। ব্লো ড্রাই করার মাধ্যমেও চুল সোজা করা যায়।
২. প্রতিদিন হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারে চুলের আর্দ্রতা ধীরে ধীরে কমে যায়। চুল হয়ে যায় শুষ্ক। চুলের আগাও ফাটে।
৩. যেদিন হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করবেন, সেদিন গোসলের সময় থেকেই প্রস্তুতি নিন। শ্যাম্পু করার পর ভালোভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৪. সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চুলে তেল মালিশ করুন। হেয়ার স্ট্রেইটনার সিরাম ব্যবহার আবশ্যক।
৫. স্ট্রেইটনার ব্যবহারের আগে চুল শুকিয়ে নিন। মনে রাখবেন, ভেজা চুলে আয়রন করলে চুলের ফাইবার পুড়ে যাওয়া ও দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
৬. চুল স্ট্রেইট করার সময়টা ভাগ করে নিতে হবে। প্রথমে অল্প পরিমাণে চুল নিয়ে স্ট্রেইট করুন।
৭. ধীরে ধীরে ওপর থেকে নিচের দিকে স্ট্রেইটনার চালান। কোনো জায়গায় থামবেন না। বারবার এক জায়গায় অনেকক্ষণ ধরে স্ট্রেইট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৮. একবার চুল স্ট্রেট করার পর অন্তত ২৪ ঘণ্টার একটি বিরতি দিন।
৯. মাসে অন্তত একবার পারলারে গিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া উচিত। এ ছাড়া ভালো মানের স্ট্রেইটনার ব্যবহার করুন।
সূত্র: ওয়ানহাউটু