jno কথা ছিল এমনভাবে ছবি বিনিময় হবে, যা দুই দেশের মানুষের সামাজিক জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। কিন্তু এখন সেটা হয়ে গেল একতরফা। ছবি আমদানি হচ্ছে, কিন্তু রপ্তানি সঠিক নিয়মে হচ্ছে না। এমনকি রপ্তানির কোনো নীতিমালাও হচ্ছে না; যা আমাদের সিনেমার ভবিষ্যতের জন্য হবে ভয়াবহ ক্ষতিকর।’ বলছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিচালক সমিতির কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি রেজা লতিফ, ফিল্ম এডিটর গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, রুবেল, জায়েদ খান, শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ওমর সানি, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সমিতির সহসভাপতি আমির হোসেন, সিডাপের প্রেসিডেন্ট এস আই ফারুক। মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন অভিনেতা রুবেলনীতি না মেনে কলকাতার বাংলা ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ ছবির প্রদর্শনীর বিরুদ্ধে মতবিনিময় সভায় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘চলচ্চিত্রই আমাকে খ্যাতি দিয়েছে। সেই চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে আপনারা সব সময়ই কাছে পাবেন আমাকে।’ অভিনেতা রুবেল বলেন, ‘আমরা খাল কেটে কুমির এনেছি। সেই কুমির আমাদের কামড় দিচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার নামে যে নোংরামি হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। আর ছবি আমদানি-রপ্তানির এ নিয়ম আমরা মানি না।’ সভায় জানানো হয়, আগামীকাল সকাল ১০টায় সবাই এফডিসিতে সমবেত হবেন। সেখান থেকে প্রেসক্লাবে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করা হবে। প্রতিবাদ সভা শেষে, যেসব প্রেক্ষাগৃহে ‘কেলোর কীর্তি’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে, সেই হলগুলোর সামনে মানববন্ধন করা হবে। নিয়ম না মেনে আমদানি করা এই ছবি দর্শকেরা যাতে না দেখেন, সে জন্য তাঁদের অনুরোধ জানানো হবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আমজাদ হোসেন, দেওয়ান নজরুল, বদিউল আলম খোকন, সাফি উদ্দীন সাফি প্রমুখ।