120 ঠিক কোন বয়সে আপনার কালো চুল সাদা হয়ে যাবে সেটা বলা যায়না। তরুণদের ক্ষেত্রে যখন চুল পাকার সমস্যাটি দেখা দেয় তখন তা তাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং তারা সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে যেতে লজ্জা পায়। কোন সমাধান খোঁজার আগে কারণ গুলো জেনে নিন। চুল সাদা হওয়ার কারণ গুলোঃ · বংশগত কারণে হতে পারে · উচ্চমাত্রার রাসায়নিক সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে অথবা সুইমিং পুলের ক্লোরিন পানির জন্য চুল সাদা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। · মানসিক চাপের কারণে হতে পারে। · চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে অকালে চুল সাদা white Hair হতে পারে। চুলের গোঁড়ায় হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের বৃদ্ধিও চুলকে বর্ণহীন করে দিতে পারে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব। তাই দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। এবার আসুন জেনে নেই প্রতিকারের উপায় গুলো সম্পর্কে : ১। হেনা – চুলে নিরাপদে ব্যবহার করা যায় হেনা। হেনা চুলের ক্ষতি করে না ও চুলকে শুষ্ক করে দেয় না। মেহেদি চুলকে কেরাটিন প্রদান করে শক্তিশালী করে ও চুলের ভঙ্গুরতা কমায়। হেনা মিক্স তৈরি করার জন্য যা যা লাগবে- · ২ টেবিল চামচ হেনা পাউডার · ১ টেবিল চামচ দই · ১ টেবিল চামচ মেথি বীজ · ৩ টেবিল চামচ কফি · ২ টেবিল চামচ তুলসী · ৩ টেবিল চামচ পুদিনার রস এইসব উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগান এবং ২-৩ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। ২। ঘি – চুলে ঘি ব্যবহার করলে চুল স্বাস্থ্যবান ও আর্দ্র থাকে। চুলের গোড়ায় ও আগায় ভালো করে ঘি লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মাসে দুই বার এটা করুন। ঘি চুল সাদা হওয়া রোধ করবে এবং চুলকে নরম ও পুষ্টি প্রদান করবে। ৩। মেথি – মেথি খেলে শরীরে পুষ্টিসাধনে সহায়তা করে। চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করার জন্য মেথির মাস্ক চুলে লাগাতে পারেন। মেথির মাস্ক চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মেথির মাস্ক চুলকে নরম ও সিল্কি করবে। এছাড়াও পেঁয়াজের রস, নারিকেল তেল ও কারিপাতার মিশ্রণ এবং কফি চুলের সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করলে চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, শক্তিশালী হয় এবং চুলের সমস্যা দূর হয়। তথ্যসুত্রঃ প্রিয় লাইফ