hfshn আকাশি-সাদা জার্সিতে আর যদি না ফেরেন, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের গল্পটা হয়ে থাকবে এমন—লাল কার্ডে শুরু, পেনাল্টি নষ্ট করে শেষ। দুর্দান্ত অনেক গোল ছিল, ছিল চোখে মায়াঞ্জন বুলিয়ে দেওয়া অনেক পারফরম্যান্সও। কিন্তু দিন শেষে অর্জনের খতিয়ানে আর্জেন্টিনা নামের ঘরটা লিওনেল মেসির জন্য অনন্ত আক্ষেপ হয়েই থাকবে। একে ব্যর্থতা বলবেন? না স্রেফ দুর্ভাগ্য? আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার হার্নান ক্রেসপোর চোখে দ্বিতীয়টিই। শূন্যতা সঙ্গী করেই শতবার্ষিকী কোপা আমেরিকার পর জাতীয় দল থেকে সরে গেছেন মেসি। ২০০৫ সালের হাঙ্গেরির সঙ্গে লাল কার্ড দিয়ে যে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তার পরতে পরতে রয়েছে বেদনাই। শেষ টেনেছেন টানা তিন বছরে তৃতীয়বারের মতো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের হতাশা নিয়ে। যার শেষটি শতবার্ষিকী কোপার ফাইনাল, আর তাতে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে প্রথম পেনাল্টি নষ্ট করেছেন নিজেই। সব মিলিয়ে ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে চারবার ফাইনালে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে মেসিকে। মেসির খালি হাত মানে আর্জেন্টিনাও শিরোপাশূন্য। অনেকের চোখে সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দলে থাকতেও ১৯৯৩ সালের পর আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের অপেক্ষা ফুরোয়নি ‘আলবিসেলেস্তে’দের। তবে এতে মেসির দোষ খুঁজতে রাজি নন ক্রেসপো। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরং দুর্ভাগ্যেরই হাত দেখছেন সাবেক আর্জেন্টিনা স্ট্রাইকার, ‘আমিও জাতীয় দলকে জিততে দেখতে চাই। কিন্তু বলব না, মেসির দোষেই সেটা এত দিন হয়নি। এটা একেবারেই ঠিক হবে না। মেসি অনেক ভালো খেলেছে। জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা সে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ও। শুধু ভাগ্যটাই পাশে ছিল না।’ বাতাসে অবশ্য গুঞ্জন মেসির এই অবসর সাময়িক। আবারও জাতীয় দলে ফিরে আসতে পারেন। তবে ক্রেসপো ওটা নিয়েই পড়ে থাকতে রাজি নন। মেসি ফিরুন বা না ফিরুন, আর্জেন্টিনাকে একই রকম শক্তিশালী দেখতে চান ৪১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন, ‘এটা শুধু মেসির ব্যাপার নয়। এটাকে এভাবে দেখুন, ২৩ বছরে জাতীয় দল বড় কোনো শিরোপা জেতেনি। হ্যাঁ, দুবার অলিম্পিক জিতেছে (২০০৪ ও ২০০৮)। কিন্তু একই সময়ে অনেকগুলো ফাইনালও হেরেছি। যা-ই হোক, আমরা এখনো শক্তিশালী। আমার মনে হয়, এর পরের বার আমরাই জিতব।’ রয়টার্স।