
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর।
এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর দুটি সিনেমা—সম্রাট ও মেন্টাল (রানা পাগলা)। ছবি দুটিসহ আরও বিভিন্ন প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা বলেছেন তিনি
মিশা সওদাগরঈদে কী করলেন?
সাধারণত ঈদের ছুটিতে রাতে টেলিভিশন দেখি। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সোনার কাঠি রুপোর কাঠি নাটকটি দেখলাম। আনিসুর রহমান মিলন দারুণ অভিনয় করেছেন। সকাল আহমেদও নাটকটি বানিয়েছেন বেশ যত্ন নিয়ে। শিহাব শাহীনের এক্স ফ্যাক্টর মনে ধরেছে। অপূর্ব, মম ও ইরেশকে এই নাটকে আমার খুব ভালো লেগেছে। আর মোশাররফ করিম তো দায়িত্ব নিয়ে দর্শকদের হাসিয়ে চলেছেন। তিশাকে বেশ কয়েকটি নাটকে দারুণ লেগেছে। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি দেখেও আনন্দ পেয়েছি।
হাসির নাটক নিয়ে অনেক দর্শককে বিরক্তি প্রকাশ করতেও তো দেখা গেছে?
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিকভাবে শান্তিতে নেই। এর মধ্যেও কিছু পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী স্মার্টলি দর্শকদের হাসানোর মাধ্যমে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। কজন মানুষই–বা পারেন অন্যকে হাসাতে? আমি তো বলব, যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা আলোচনায় আসার জন্য সমালোচনা করেন। মোশাররফ করিমই কিন্তু টিভি নাটকের ১ নম্বর অভিনেতা। ঠিক তেমনি মানতে হবে, চলচ্চিত্রে শাকিব খানও ১ নম্বর নায়ক।
যাঁদের কথা বললেন এঁদের পর আর কাকে সম্ভাবনাময় দেখছেন?
ইদানীং টিভি নাটকে নাঈমের অভিনয় ভালো লাগছে। চলচ্চিত্রে আরিফিন শুভ। টিভি নাটকে মম।
শুটিং শুরু করছেন কবে?
আড়াই মাস কোনো ছবির কাজ করিনি। শনিবার থেকে নতুন ছবি শুটার-এর কাজ শুরু করছি।
শেষ কবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখতে গিয়েছিলেন?
এবারের ঈদে বউ-বাচ্চা, বোন-ভাগনেসহ পরিবারের সবাই মিলে সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে গেছি। বছরের অন্য সময় আমি একা সিনেমা হলে যাই। ২০ বছর ধরে ঈদে আমার কোনো–না-কোনো ছবি মুক্তি পায়। তাই ঈদের সময়টাতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা হলে যাবই। শুরুতে বাদশা দেখেছি। আমার কাছে এই ছবিকে কমপ্লিট সিনেমা মনে হয়েছে। পরে যমুনা ব্লকবাস্টারে শিকারি ছবিটি দেখেছি। শাকিব তো দারুণ করেছে।
এবারের ঈদের ছবিগুলো নিয়ে চারদিকে একটা হইচই দেখা যাচ্ছে
গল্প, নির্মাতা, নায়ক-নায়িকা, নির্মাণশৈলী ভালো হলে এবং ভালো সময়ে সিনেমা মুক্তি পেলে তা ব্যবসা করবেই। মানুষ সেই সিনেমা দেখতে বারবার হলে ছুটবেই। শিকারি ছবিটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি হইচই শোনা যাচ্ছে। শিকারি ছবির জন্য শাকিব অনেক কষ্ট করেছেন। ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন। ভোরবেলা শুটিং স্পটে হাজির হতেন। অন্যদিকে সম্রাট ছবিতে কখনো শাকিবের চুল ঠিক, আবার ঠিক নেই। কস্টিউমের ক্ষেত্রেও সমস্যা। শাকিব খানের ওপর নির্ভর করে গত কয়েক বছর চলচ্চিত্র ব্যবসা চলছে। তিনি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা করুন, কিন্তু দেশের সিনেমার দিকেও তাঁকে নজর দিতে হবে বেশি।
নিজের ছবিগুলো নিয়ে আপনার মন্তব্য
পরিচালক রাজের চেষ্টা ছিল স্মার্ট একটি ছবি উপহার দেওয়ার। সম্রাট-এ তিনি তা করেছেন। কিন্তু মেন্টাল (রানা পাগলা) ছবির গল্পটাই ঠিকমতো বুঝতে পারিনি।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের