rfttuio ক্রীড়া প্রতিবেদক : ছুটিতে বন্ধুবান্ধব নিয়ে কক্সবাজারে তাসকিন আহমেদ। সেখানে গত সন্ধ্যায় দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহরের কোথাও তাঁকে নিয়ে ভক্তদের ছবি তোলার এমন হুল্লোড় যে ফোন ধরার অবস্থায়ই ছিলেন না এ ফাস্ট বোলার। ব্যাপক হইচইয়ের মধ্যে ওপার থেকে তাঁর এক বন্ধুর এ কথাটাই শুধু বোঝা গেল, ‘ভাই, ওকে ছাড়ছেই না।’ ভক্তরা তাঁকে না ছাড়ুন, সুদর্শন এ পেসার নিজেকে ঠিকই ছাড়িয়ে গেছেন। ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে নিষিদ্ধ এ বোলারকে নিয়ে কাজ করা মাহবুব আলী জাকি’র দাবি অন্তত তাই। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে তাসকিনকে নিয়ে পাঁচ সেশন কাজ করার অভিজ্ঞতায় স্বস্তির সঙ্গে গতি বাড়ানোর খবরও দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই কোচ। তাঁর ভাষায়, ‘আইসিসি ওর বাউন্সারে সমস্যা পেয়েছিল। ১৫ ডিগ্রির সহনীয় সীমার চেয়ে ওর কনুই মাত্র ২ ডিগ্রি বেশি বাঁকা হওয়াটা অবশ্য খুব বড় কোনো সমস্যাও নয়। যে কয়দিন কাজ করেছি, আমার তো তাসকিন খুব ভালো অবস্থায় আছে বলেও মনে হয়েছে।’ জাকি’র মনে হয়েছে এটিও, ‘কাজটি অ্যাকশন শোধরানোর হলেও আমার মূল দৃষ্টি ছিল অন্য জায়গায়। শোধরাতে গিয়ে যাতে গতি কমে না যায় বা কার্যকারিতা হারিয়ে না ফেলে। পৃথিবীতে অ্যাকশন শুধরে আসা অনেক বোলার এ জন্য হারিয়েও গেছেন। স্বস্তির ব্যাপার হলো তাসকিনের গতি তো কমেইনি, বরং বেড়েছে।’ কতটুকু? সে প্রশ্নের জবাবও মিলেছে, ‘প্রিমিয়ার লিগে খালি চোখে দেখে তাসকিনের গতি বেড়েছে বলেই মনে হয়েছে আমার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ও সর্বোচ্চ গতি তুলেছিল ঘণ্টায় ১৪৭.৮ কিলোমিটার। এখন তার চেয়ে গতি অবশ্যই বেড়েছে। সম্ভবত ১৫০ কিলোমিটারের বেশিই হবে।’ খালি চোখে দেখা কোচের এই অনুমান সত্যি হলে তো তাসকিন নিজেকে ছাড়িয়েই গেছেন!