kopu নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট দূরত্বে মিলোস রাওনিচ। দুশ্চিন্তা, আবেগ মিলে তো থরথর করে কাপার কথা তাঁর। কিন্তু স্নায়ু চাপের ছিটে ফোটাও দেখা গেল না এই কানাডিয়ান তারকার মাঝে। টানা ৪টি দুর্দান্ত সেভে কোনো সুযোগই দিলেন না ফেদেরারকে। সেট জিতে গেলেন ৬-৩ গেমে। রজার ফেদেরারকে ৬-৩, ৬-৭ (৩/৭), ৪-৬, ৭-৫, ৬-৩ গেমে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে চলে গেলেন উইম্বলডনের ফাইনালে। খেলা পঞ্চম সেটে গড়ানোর পর বিবিসি’র ক্যামেরায় ধরা পড়লেন অ্যালেক্স ফার্গুসন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই কিংবদন্তি ম্যানেজারকে দেখেই বিবিসির ওয়েবসাইটের মন্তব্য, ‘শুরু হচ্ছে ফার্গি টাইম।’ অতিরিক্ত সময়েও দলের প্রয়োজনে বাড়তি সময় আদায় করে নিতেন ফার্গুসন। আর সে ‘ফার্গি টাইমে’ কীভাবে কীভাবে যেন তাঁর দল ইউনাইটেড জিতেও যেত। সেটি কী করতে পারবেন রজার ফেদেরার? প্রশ্ন উঠেছিল তখনই। নেতিবাচক উত্তরই মিলল একটু পর। ফেদেরার কী আজ আসলেই ছিলেন কোর্টে? প্রশ্ন উঠতেই পারে। একের পর এক স্বভাব বিরুদ্ধ ভুল, আন ফোর্সড এরর, ডাবল ফল্ট, প্রতিপক্ষকে ব্রেক পয়েন্ট উপহার দেওয়া—কী ছিল না আজ ফেদেরারের খেলায়! বয়স যে ৩৪ বছর হয়ে গেছে সেটিই যেন বুঝিয়ে দিলেন আজকের খেলায়। উইম্বলডনে নিজের ১১তম সেমিফাইনালে এসে হারলেন এই প্রথম। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের মতো আজও কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে ফিরে এসেছিলেন। প্রথম সেট হারের পর দ্বিতীয় সেটের জয়টিও এসেছে টাইব্রেকারে, সেখানে যেতে হতো না তাঁকে কিন্তু সেটি নিজেরই কিছু ভুলের কারণে। সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দিলেন তৃতীয় সেটে। ৬-৪ গেমে সে সেট জিতে নিজের ২৮তম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন ফেদেরার। কিন্তু ক্লান্তি যে ধরে বসেছিল তাঁকে। চতুর্থ সেটে তাঁর ভুলেই সার্ভ ব্রেক করলেন রাওনিচ, সে সেট জিতে সমতায় চলে এলেন। পঞ্চম সেটে আর পাত্তাই দিলেন না ফেদেরারকে। দুর্দান্ত সব সার্ভে এক পেশে বানিয়ে ফেললেন সেটটি। রাওনিচ ৪-১ গেমে এগিয়ে যাওয়ার পরই একটু খেলার ফেরার চেষ্টা দেখা গেল ফেদেরারের মাঝে কিন্তু রাওনিচের কোনো সার্ভিসই ব্রেক করতে পারলেন না তিনি। বলা ভালো, তাঁকে কোনো সুযোগই দিলেন না, রাওনিচ। ১৮তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা থেকে আবারও হাত ছোঁয়া দূরত্ব থেকে ফিরলেন ফেদেরার। কে জানে ১৮ সংখ্যাটিই হয়তো শেষ পর্যন্ত হতাশার অপর নাম হয়ে থাকবে ফেদেরারের কাছে!