gji ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এখন আন্তর্জাতিক তারকা । গত এক বছরে বিশ্বের বিনোদন জগতে তিনি হয়ে উঠেছেন এক পরিচিত প্রিয় মুখ। প্রথম টিভি সিরিজ ‘কোয়ান্টিকো’-এর পর তিনি চলে এসেছেন ধারাবাহিক আলোচনায় । টক শোতে, বিখ্যাত সব ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে, রেড কার্পেট থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে নৈশভোজসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অতিথি হচ্ছেন এই অভিনেত্রী। টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায়ও রয়েছেন তিনি। অর্জনগুলো নিয়ে কথা বলেছেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে। সেখান থেকে প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো পাঁচটি প্রশ্ন। একজন ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় কেমন লাগছে? এক দিক থেকে এটা পরাবাস্তব, অন্যদিকে ভীষণ আনন্দের। অন্য একটা দেশে গিয়ে নতুন কিছু করা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই সুযোগ পাওয়াটাকে আমি মাদকতাপূর্ণ এক যাত্রা মনে করছি। ভিন্ন সংস্কৃতির একটি দেশে গিয়ে কাজ করে এত ভালোবাসা, সহযোগিতা ও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। পুরস্কার, অস্কারের মঞ্চে ওঠা, টাইম ম্যাগাজিনসহ বেশ কয়েকটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে আসা, জিমি ফ্যালনের টক শো থেকে শুরু করে অনেকগুলো টক শোতে অংশ নেওয়া ... ভারত আপনাকে নিয়ে গর্বিত। আপনার মন্তব্য কি? সেই শুরু থেকেই আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। ২০০০ সালের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে এর শুরু। আমি আনন্দিত যে আমার প্রচেষ্টাগুলোর সবার নজরে পড়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে। ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত। যে অর্জনগুলোর কথা বললেন, বিনোদন জগতের জন্য এগুলো এক শতাংশ মাত্র এবং আমি শিগগির থামছি না। ইদানিং আপনার পোশাক থেকে শুরু করে সব কিছু সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে! এসব অতিশায়িত। ক্ষেত্রবিশেষে অনেক কিছু সত্যও নয়। আমি কিছু একটা বললে সেটাকে বড় করে, রাঙিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। পাবলিক ফিগারদের ক্ষেত্রে এসব হয়েই থাকে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘কোয়ান্টিকো’ বিশ্বের ২১২টি অঞ্চলে ৬৫টি ভাষায় দেখানো হচ্ছে। এর সুবাদে পশ্চিমে আপনি এখন পরিচিত নাম। একাধারে দুটি মহাদেশে ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করা বেশ কঠিন। আমি মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সব সময়ই দেখি আমার যে কোনো কাজই গুরুত্বের সঙ্গে গৃহিত হচ্ছে সবখানে। খুবই ভালো লাগে যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কাজগুলোর প্রশংসা করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখি বিলবোর্ড, ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপন, টিভি অনুষ্ঠানের স্ক্রিনশট তুলে দিচ্ছে অনেকে। সেসব খুবই আনন্দ দেয়। একটি সুটকেস নিয়ে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে আপনাকে। ক্লান্ত বোধ করেন নাকি উজ্জীবিত? আমার জন্য এখন এটাই বাস্তবতা। আমি এটাই মেনে নিয়েছি। একদিন হয়ত বিমানভ্রমণ ছাড়া টানা ছয় দিন কোথাও থাকতে পারাটাকে উদ্‌যাপন করব। এই এক সুটকেসে ঘর-বাড়ি নিয়ে ঘুরছি। যেখানেই যাচ্ছি সে জায়গাটাই আমার বাড়ি। এই অস্থির শিডিউল ক্লান্তিকর কিন্তু এটাই তো স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিচ্ছে।