
এমন ম্যাচ দেখার পর বলাই যায় পয়সা উশুল! পয়সা উশুল করার হিসেব না থাকলেও রাত্রি জাগা যে সফল তা তো বলতেই হচ্ছে। আজ ওয়েলস-বেলজিয়াম ম্যাচটি যে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলালো। আক্রমণ, ফাউল, ‘ক্রুইফ টার্ন’- কী ছিল না আজকের ম্যাচে! দুর্দান্ত এক ম্যাচ উপহার দিয়ে বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল ওয়েলস ।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা বেলজিয়াম গোল পেল ১৩ মিনিটে। দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া রাজা নাইনগোলানের ওই শট ঠেকানো সম্ভব ছিল না ওয়েইন হেনেসির পক্ষে। বেলজিয়ামের একের পর এক আক্রমণে ক্লান্ত ওয়েলস প্রথম সুযোগ পেল ম্যাচে ২৬ মিনিটে। নিল টেলরের ওই শট গোল হলো না একমাত্র থিবো কোর্তোয়ার কারণে । ২৮ মিনিটে টানা তিন সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারলেন না এডেন হ্যাজার্দরা। ৩১ মিনিটে হ্যাজার্ডকে সেটিরই মাশুল দিতে হলো। অ্যারন রামসের কর্নার থেকে হেডে গোল করলেন ওয়েলস অধিনায়ক অ্যাশলি উইলিয়ামস।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও ওয়েলসই প্রাধান্য বিস্তার করল। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য বেলজিয়াম ফিরে পেলে নিজেদের। প্রথম ৫ মিনিটেই অন্তত তিনটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কিন্তু রোমেলু লুকাকাউ, হ্যাজার্ড ও ডি ব্রুইনের ব্যর্থতা পুড়িয়েছে তাদের।
সেটাই একটু পর জ্বলুনি হয়ে জ্বলল হাল-রবসন কানুর গোলে। ৫৫ মিনিটে রামসের কাছ থেকে ডি-বক্সের মধ্যে বল পেলেন রবসন কানু। পোস্টের উলটো দিকে বল, পাশে তিনজন বেলজিয়ান খেলোয়ার। ছোট্ট একটা ‘ক্রুইফ টার্ন’ –এ সব সমস্যার সমাধান। কোর্তোয়াকে কোনো সুযোগ না দিয়ে গোল।
এর পর একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম। উলটো ৮৬ মিনিটে পালটা আক্রমণ থেকে গোল গান্টারের ক্রস থেকে গোল করেন কানুর বদলি হিসেবে নামা স্যাম ভোকস। আর সেই গোলেই নিশ্চিত হয়ে গেল বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম নয় , রাতটি ওয়েলসের সোনালি প্রজন্মের।
‘আমাকে বাড়ি নিয়ে যেওনা’ ম্যাচের শুরু থেকে সমর্থকদের গাওয়া গানে গানে অনুরোধটি ফেললেন না বেল-রামসেরা। সে সঙ্গে সেমিফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে একটা হুমকিও দিয়ে রাখলেন তারা। ওয়েলসকে যে আর ‘বেলস’ বলা যাচ্ছে না।