তাহসান বিছানায় গা এলিয়ে মোবাইল ফোনে গেম নিয়ে ব্যস্ত। পাশে মেকআপ নিচ্ছেন অপূর্ব। মেকআপ নিতে নিতেই তাহসানকে অপূর্ব বললেন, ‘চল দোস্ত, একটু রিহার্সেল সেরে নিই।’ স্ক্রিপ্ট হাতে নিয়ে আগেই একটু চোখ বুলিয়ে নিলেন তাঁরা। এরপর গলা পরিষ্কার করে নিয়ে অপূর্ব বলতে শুরু করলেন, ‘মেয়েদের সঙ্গে যে বেশি সুন্দর করে কথা বলতে পারে, তার তত বেশি মেয়েবন্ধু...।’ হঠাৎ মহড়ায় ছেদ। সেট থেকে ডাক এল, ‘শট রেডি।’ হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লেন তাহসান। শেষবারের মতো আয়নায় নিজেদের দেখে নিয়ে দুজনে দ্রুত বেরিয়ে গেলেন।
রাজধানীর মগবাজারের একটি শুটিংবাড়ির সাজঘরে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেল। সেখানে চলছিল ঈদের জন্য তৈরি টেলিছবি কথোপকথন-এর শুটিং।
শুটিংবাড়ির চিলেকোঠার টিনের ঘরে চলছিল শুটিং। ভেতরে উঁকি দিতেই মেঝেতে পাতা দুটি বিছানা চোখে পড়ে। ইউনিটের একজন জানালেন, দুই বন্ধুর রুম এটি। রুমটিতে ঢুকতেই রবীন্দ্রসংগীত কানে ভেসে এল। টেলিছবির গল্পে তাহসানের সকাল শুরু হয় রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে। আর অপূর্বর পছন্দ হেভি মেটাল। দুই বন্ধুর চিন্তার এই পার্থক্য এবং তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়েই টেলিছবির গল্প।
গল্পের দুই বন্ধুর বন্ধুত্ব কিন্তু বাস্তবেও বেশ পাকা। তাঁদের বন্ধুত্বের বয়স প্রায় সাত বছর। কিন্তু এত দিনে এসে সুযোগ মিলল একসঙ্গে অভিনয় করার। টেলিছবিটির চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মিজানুর আরিয়ান জানালেন, তাহসান ও অপূর্বর সত্যিকারের বন্ধুত্বকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘অনেক দিন ধরেই দুজনকে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা। টেলিছবির চিত্রনাট্য এই দুজনকে মাথায় রেখেই লিখেছি।’