
ম্যাচের তখন ৭৭ মিনিট। একটা থ্রু ধরে বলিভিয়ার গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পেকেও কাটিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বেঁজে ওঠে অফসাইডের বাঁশি। মেসি এরপর যেটা করলেন, সেটা আর কেউ মনে না রাখলেও লাম্পে অনেক দিন মনে রাখবেন। দুই পা নয়, তাঁর দুই হাতের ফাঁক দিয়ে যেভাবে মেসি বলটা নিয়ে গেলেন, একজন গোলরক্ষকের জন্য সেটা খুব গর্বের কিছু ছিল না।
কিন্তু ওই ঘটনাটাই ‘অপমান’ হিসেবে দেখছে বলিভিয়া। তাদের তারকা খেলোয়াড় জাসমানি কাম্পোস তো ম্যাচ শেষে ক্ষোভই উগরে দিলেন, ‘সে আসলে আমাদের সঙ্গে তামাশা করতে এসেছে। ওর মতো একজন খেলোয়াড়ের এ রকম করা মোটেই উচিত হয়নি। সে শুধু শুধু আমাদের সতীর্থদের নিয়ে রসিকতা করেছে।’
শুধু ওই ঘটনাতেই কাম্পোসের অভিযোগ থেমে যাচ্ছে না। দাবি করেছেন, মাঠে একটা সংঘর্ষের সময় মেসি তাঁকে অশ্রাব্য কিছু বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা ঘটেছিল খুব দ্রুত। আমি ওকে ট্যাকল করেছিলাম, এর পরেই দুজনের মধ্যে ঠোকাঠুকি হয়ে গেল। এরপর সে যেটা বলল, সেটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি।’ কিন্তু মেসি আসলে ঠিক কী বলেছিলেন? কাম্পোস সেটা প্রকাশ করেননি, ‘খুবই কুৎসিত একটা কথা। এটা আমি কাউকে বলব না। তবে ওই ব্যাপারটা এখন চুকেবুকে গেছে। ও বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, দারুণ একটা দল। ওদের শুভকামনা জানাচ্ছি।’