REHSA ব্রিটিশ শাসন আমলের সময় একটা স্টিমার ঘাটকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। নানা ধরনের লোকের আনাগোনা সেখানে। স্থায়ীভাবে কেউই থাকে না ঘাটে। কিন্তু এক বৃদ্ধ দশ বছর ধরে এই ঘাটকে আঁকড়ে পড়ে আছে। রাত-বিরাতে এই ঘাটে কেউ না থাকলেও ওই বৃদ্ধকে ঠিকই পাওয়া যায়। একদিন হঠাৎ মাঝরাতে এক ব্রিটিশ দারোগা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হয়। নদী পার হওয়া তাদের জন্য ভীষণ জরুরি। কিন্তু কোনো মাঝি না পাওয়ায় অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এরপর একের পর এক ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। বেরিয়ে আসে একজন মানুষের জন্মের ইতিহাস। এভাবেই এগিয়ে যায় আত্মপরিচয় সন্ধানী নিখাই নাটকের কাহিনি। থিয়েটারের ৩৪ তম এই প্রযোজনাটির ২৭তম মঞ্চায়ন হলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। রচনার পাশাপাশি প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন গাজী রাকায়েত। নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক গাজী রাকায়েত বলেন, নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা ব্যতীত যদি কেউ কাউকে হত্যা করে, তবে বিবেচনা করা হবে সে সমগ্র মানব জাতিকেই হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে বিবেচনা করা হবে সে পৃথিবীর সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। আজ পৃথিবীতে দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে যে দ্বন্দ্ব সেটা এই বিভক্তিকে কেন্দ্র করেই। এই বিভক্তি মানবজাতিকে মহাপ্রলয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু ধর্মে ধর্মে নয়, একই ধর্মেও মধ্যে মানুষে মানুষে যে ব্যবধান সেটাও ভয়াবহ! পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে মানুষের সঙ্গে মানুষের যে ব্যবধান সেটাকে ঘোচাতে হবে—এর কোনো বিকল্প নেই। আর বৈষম্যহীনতা মানবিকতাকে ধারণ করেই আমার এ নাটকের কাহিনি। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রফিকুল ইসলাম, প্রবীর দত্ত, তৌহিদুল ইসলাম, ইউসা আনতারা প্রমুখ।