
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে প্রথা ভেঙে কাল প্রথমে কথা বললেন স্বাগতিক কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। নিজের কথা শেষ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেই প্রশ্ন আসতে কিছু সময় দেরি হওয়ায় যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন ক্রুইফ। ভেবেছিলেন, কোনো প্রশ্নই করবেন না কেউ। হেসে বললেন, ‘ওহ্, তাহলে তো বেঁচেই গেলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সম্মেলনকক্ষে তখন হাসির রোল। কিন্তু এরপরই প্রশ্নবাণে জর্জরিত কোচ। ঘুরেফিরে একটাই প্রসঙ্গ—সেট পিসে বারবার গোল খাওয়া কেন? ডি ক্রুইফ ভাগ্যকে দুষলেন, ‘ভেবেছিলাম, গোলরক্ষক রানা সহজেই বলটা লুফে নিতে পারবে। কিন্তু ও তা পারেনি। তপুর হেডে দিক বদলে গোল হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
বৃষ্টিভেজা মাঠে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জীবন, মামুনুল ও জামাল গোলের কাছে পৌঁছেও পারেননি। তবু তাঁরা পেলেন কোচের প্রশংসা, ‘৯০ মিনিটে অনেক সুযোগ পেয়েছি। এই ম্যাচে অন্তত একটা গোল প্রাপ্য ছিল আমাদের। জয়টাও প্রাপ্য ছিল। আসলে ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না। তারপরও আমি ছেলেদের খেলায় সন্তুষ্ট।’
দুশানবেতে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঢাকায় ১ গোলে হারাটাকে ইতিবাচকই দেখছেন ক্রুইফ, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো একটা ফল, যা পরের ম্যাচে আরও ভালো করতে সাহায্য করবে ছেলেদের। তাজিকিস্তান যদিও আগের ম্যাচে ৫ গোল দেওয়ার পর আজ নির্ভার হয়ে খেলেছে। তবে কোচ হিসেবে আমি জানি, ৫ গোল খাওয়ার পর ছেলেদের মানসিকতা কেমন থাকে। এখন ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস একটু হলেও বাড়বে।’
ক্রুইফের সঙ্গে এক মাসের খণ্ডকালীন চুক্তি শেষ হয়ে গেছে গতকালই। আগামীকাল তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তাঁকেই ভুটান ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে নিজেই বললেন, ‘আগামীকাল (আজ) ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে সভায় বসব। নিশ্চয়ই একটা পরিকল্পনা আছে বাফুফের, আমারও আছে। আমরা এসব নিয়েই কথা বলব। যদিও জানি না, কী হবে। তবে আমি বাংলাদেশের ফুটবলকে সাহায্য করতে মুখিয়ে আছি।’
ক্রুইফ কম ব্যবধানে হেরেই সন্তুষ্ট, আর তাজিকিস্তান কোচ খাকিম ফুজায়লভ খুশি পরের রাউন্ড নিশ্চিত হওয়ায়, ‘এমন মাঠে বৃষ্টি-কাদার মধ্যে খেলে মোটেও অভ্যস্ত নয় ছেলেরা। ওরা নিয়মিত টার্ফে অনুশীলন করে। টার্ফেই খেলে। তাই এই ফলে আমি সন্তুষ্ট। পরের রাউন্ডে যাব বলে খুশি আমরা।’