আজকাল ২/৩ বছরের শিশুরা পর্যন্ত কানে হেডফোন ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুর স্মার্টনেস বোঝানোর জন্য বাবা-মাও শিশুকে হেডফোন কিনে দেন। আর সব চেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন হেডফোন উৎপাদক কোম্পানিসমূহ এ ধরনের হেডফোন শতভাগ সেফ বা নিরাপদ বলে বাজারজাত করে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে শিশুদের অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারে হিয়ারিং লস বা শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
গবেষকগণ বলছেন, তারা বিভিন্ন ধরনের হেডফোন পরীক্ষা করে দেখেছেন এসব হেডফোন থেকে যে পরিমাণ শব্দ তরঙ্গায়িত হবার কথা তার চেয়ে অধিক শব্দ শিশুদের কানের পর্দায় আঘাত করে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। এ ব্যাপারে কলোর্যাডো বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অডিওলজিস্ট কোরি পোর্টনাফ মনে করেন এমনও হেডফোন আছে যার শব্দ মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে, মুহূর্তের মধ্যেই এসব হেডফোন শিশুর শ্রবণশক্তি হ্রাস করতে পারে। টরেন্টোর হসপিটাল ফর সিক চিলড্রেন-এর চিফ অটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট ড. ব্লেক প্যাপসিন মনে করেন, হেডফোনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টটি পিতা-মাতা অভিভাবকদের জন্য ওয়েক আপ কল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, যাতে তারা তাদের সন্তানদের হেডফোন ব্যবহার জনিত শব্দ সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তৎপর হন।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ৮-১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের প্রায় অর্ধেকেই কানে হেডফোন ব্যবহার করে কোনো না কোনো মিউজিক শুনে থাকেন। তাই শিশুদের এসব ক্ষতিকর হেডফোন ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকগণ।