yjguy ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ধারাবাহিক সাফল্যে সাব্বির রহমান পরিচিত পেয়েছেন ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে। বাংলাদেশের হয়ে তাঁর বড় বড় যে সাফল্য, বেশির ভাগই এসেছে টি-টোয়েন্টিতেই। ওয়ানডেতেও নিজেকে চিনিয়েছেন আলাদা করে। এখনো ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণের স্বাদ পাননি। তবে সাব্বির জানিয়ে দিলেন, টেস্টে সুযোগ পেলেও নিজের মতো করেই খেলবেন। আক্রমণাত্মক মেজা​জটা বদলাবেন না। ২০১০ এশিয়া গেমসের ফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে সাব্বিরের ১৮ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস, গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৫১, কিংবা গত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সাব্বিরের ৮০ রান...এখনো নিশ্চয়ই মনে আছে অনেকের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তাঁর মেজাজে-মননে। তাঁর বিশেষ পরিচিতি যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই। পরিসংখ্যানও তাঁর পক্ষে কথা বলবে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক। তাঁর অভিষেকের পর বাংলাদেশের খেলা সব টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিলিয়ে সাব্বিরেরই সবচেয়ে বেশি রান—২৬ ম্যাচে ৩০.২০ গড়ে ৬০৪। কিন্তু তাঁর তো ইচ্ছে করে টেস্টের স্বাদ পেতে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাব্বির যেমন নিজেকে চিনিয়েছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে, টেস্টে সুযোগ পেলে কি ধরে রাখবেন একই মেজাজ? আক্রমণাত্মক খেলার পক্ষেই সাব্বির, ‘এখন যে ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করছে, সেই দেখা যাচ্ছে টেস্টে সেঞ্চুরি-ডাবল সেঞ্চুরি করছে। টেস্ট বলে নয়, সব ম্যাচই আসলে আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট হলেই যে আমি ধরে খেলব বা ছেড়ে খেলব, তা নয়। সব মারমুখী ব্যাটসম্যানই টেস্টে সাফল্য পাচ্ছে। রান করাটাই আসল ব্যাপার।’ টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে সাব্বির তিনে ব্যাটিং করে সাফল্য পেয়েছেন। টেস্টেও কি একই পজিশনে খেলতে চান? বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরই ছেড়ে দিলেন সাব্বির, ‘আমার বিশেষ কোনো চাহিদা নেই। দলের প্রয়োজনে অধিনায়ক ও কোচ আমাকে যেখানে খেলাবেন, সেখানেই ভালো কিছুর চেষ্টা করব।’