ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আজ বিকেএসপির ম্যাচটির দিকে একটু বাড়তি মনোযোগই হয়তো ছিল। বাড়তি মনোযোগটা সৌম্য সরকারের জন্য, সেটা বললে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না। বিকেএসপিতে নিজের কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত মাঠে সৌম্য নিজের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারেন কি না—দেখার বিষয় ছিল সেটিই।
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচটি নাটকীয় সমাপ্তিই দেখেছে। ভিক্টোরিয়ার ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে রূপগঞ্জের দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রয়াসটা একেবারে বিফলে যায়নি। ম্যাচটি টাই হয়েছে, কিন্তু রূপগঞ্জের সৌম্যর অবদান এতে সামান্যই। মাত্র ১০ রানেই কামরুল ইসলাম রাব্বীর বলে উইকেটকিপার ধীমান ঘোষকে ক্যাচ দেন তিনি। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে চেয়ে অন্তত প্রথম ম্যাচেও রয়ে গেলেন ব্যর্থতার বৃত্তেই।
আন্তর্জাতিক অভিষেকের প্রথম বছরটা দুর্দান্ত কাটিয়েছিলেন। বড় বড় দলের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং সৌম্যকে ঘিরে বড় স্বপ্নই দেখিয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ফর্ম হারিয়ে ফেললেন। শুরুর সেই সাবলীল ব্যাপারটাই যেন হারিয়ে গেল তাঁর ব্যাট থেকে। এবারের প্রিমিয়ার লিগটা তাঁর জন্য নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াই। কিন্তু প্রথম সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না।
২০১৪-১৫ মৌসুমে এই প্রিমিয়ার লিগই কিন্তু তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সে মৌসুমে ১৫টি ম্যাচ খেলে ৪১ গড়ে করেছিলেন ৬১৫ রান। লিগ জিতেছিল তাঁর দলই। ফাইনালে ৭ ছক্কা আর ৭ চারে সৌম্য খেলেছিলেন ৯৭ রানের এক ইনিংস। শুধু প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দিয়েই সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে। আর বিশ্বকাপ ও বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে তিনটি সিরিজে কী করেছেন, তা তো সবার জানাই!