বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের বিশ্বাস, তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি দ্রুত সংশোধন করা যাবে। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকবে তাসকিন।
গত সোমবার বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের কাজ শুরু করেন আরাফাত সানি ও তাসকিন। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই দুই জনের বোলিং নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ হলেও বোর্ডের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ রয়েছে সানি-তাসকিনের। দেশের সেরা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়র ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলতে পারেন এই দুই বোলার।
তাসকিনের বোলিং সংশোধনের পুরোটা সময় তার সঙ্গে নাও থাকতে পারেন স্ট্রিক। আইপিএল চলার সময় গুজরাট লায়ন্সের হয়ে কাজ করার কথা রয়েছে তার। তিনি এই সময়ে বিসিবি কোচদের দুই বোলারকে পর্যবেক্ষণে রাখার এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা বলেছেন।
“আমাদের সময়ের কোনো চাপ নেই। আমার মনে হয়, আবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাসকিনের তৈরি হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আবার তাকে পাঠানোর আগে আমাদের শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে।”
গত ১৫ মার্চ চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তাসকিন। তাতে তার তিনটি ডেলিভারিতে ত্রুটি ধরা পড়ে। স্ট্রিকের বিশ্বাস, এই ত্রুটি দূর করা খুব একটা কঠিন হবে না তাসকিনের জন্য।
জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রিক জানান, চেন্নাইয়ে তাসকিনের শুধু স্লোয়ার বাউন্সারে ত্রুটি পাওয়া গেছে। আর এ কারণেই তার বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৪০টি ডেলিভারির মধ্যে তিনটিতে ত্রুটি পাওয়া গেছে, তাই তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনের সংশোধনের জন্য খুব বেশি কিছু নেই বলেই মনে করেন স্ট্রিক।
“আমি তার সঙ্গে প্রথম যখন কাজ শুরু করি, তারপর থেকে তার বোলিং অ্যাকশন খুব একটা পাল্টায়নি। আমাদের কখনও সন্দেহ করার মতো কোনো কারণ ছিল না। তাই এমনকি আমিও বিস্মিত হয়েছিলাম। তার দ্রুত গতির সব ডেলিভারি ত্রুটিমুক্ত। তার স্লোয়ার বাউন্সারে সমস্যা পাওয়া গেছে, এটা ক্লান্তির জন্যও হতে পারে।”
স্ট্রিকের বিশ্বাস, শিগগির ক্রিকেটে ফিরবেন তাসকিন, “আমার মনে হয় না, তার বোলিং অ্যাকশন সংশোধন খুব একটা কঠিন হবে। এটা খুব বেশি সময় নেবে না।”