অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে প্রবল চাপ জয় করে খেলা অসাধারণ ইনিংসটিকে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বলে মনে করছেন বিরাট কোহলি।
মোহালিতে ৫১ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভারতকে সেমি-ফাইনালে তোলেন কোহলি। রান তাড়ায় শুরু থেকেই রান-বলের সমীকরণে পিছিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু সেই চাপের ছাপ একটুও দেখা যায়নি কোহলির ব্যাটিংয়ে। ঠাণ্ডা মাথায় টেনে নিয়ে গেছেন দলের ইনিংস। সময় মত একটি-দুটি চারে রানরেটকে যেতে দেননি নাগালের বাইরে। আর প্রয়োজনমত তুলেছেন ঝড়।
৯টি চার ও ২টি ছক্কা মিলে মোট ১১টি বাউন্ডারির শেষ আটটিই তিনি মারেন শেষ পাঁচ ওভারে, ঠিক যখন প্রয়োজনটা বড় হয়ে ওঠে।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, “নিশ্চিতভাবেই এটা শীর্ষ তিনে থাকবে। সম্ভবত এখন এটাই শীর্ষে, কারণ আমি একটু আবেগী, তাই এটাকে আমি শীর্ষে রাখতে চাইব। বিশ্ব মানের দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটা আমাদের জন্য কোয়ার্টার-ফাইনাল ছিল।”
হারলেই বিদায়- এমন লড়াইয়ে ১৬১ রানের লক্ষ্য বড় কিছু না হলেও রোহিত-ধাওয়ান-রায়নাদের ব্যর্থতায় শুরু থেকেই ধুঁকছিল স্বাগতিকরা। অষ্টম ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে পথ দেখান কোহলি। যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর পর ধোনির সঙ্গে ৩১ বলে ৬৭ রানের জুটিতে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।
কোহলির প্রশংসায় অধিনায়ক ধোনি বলেন, “আমার মতে, গত দুই-তিন, হয়তো চার বছর ধরে সে অসাধারণ খেলে চলেছে। এক জন ক্রিকেটার হিসেবে তার বেড়ে ওঠা দেখেছি আমরা।”
কোহলি এর আগেও অনেকবার খেলেছেন ম্যাচ জয়ী ইনিংস। এ মাসের শুরুতেই এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারাতে খেলেন অপরাজিত ৫৫ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংস। তবে রোববার যেন ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেও। মাঠের চারপাশে চমৎকার সব শটে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের প্রশংসাও অর্জন করে নেন কোহলি।
“এটা দারুণ সিরিয়াস একটি ইনিংস। চাপের মুখে সে সব ধরনের শটই খেলেছে এবং ফাঁক খুঁজে নিয়েছে। অনেকটা সময় ধরে সে এটা করেছে, প্রশংসা তার প্রাপ্য।”