২০১৫ সালটা দুর্দান্ত গেলেও এ বছর প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো খেলতে পারেননি সৌম্য সরকার। জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থতা তো ছিলই, গত মাসে শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও রাঙাতে পারেননি এই বাঁ হাতি ওপেনার। মুদ্রার অন্য পিঠটা দেখার পর সৌম্য বুঝতে পারছেন, সমস্যাটা কোথায়। এখন তিনি সেই সমস্যা সমাধানের খোঁজে।
গত বিশ্বকাপে নিজেকে দারুণভাবে চিনিয়েছিলেন সৌম্য। এরপর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত আলো ছড়িয়েছেন। ১৬ ওয়ানডেতে ৪৯.৪২ গড়ে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে তাঁর ৬৯২ রান, সে কথাই বলছে। কিন্তু সৌম্য ফর্মটা টেনে নিতে পারেননি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। ১৯ ম্যাচে ১৫.৭৩ গড়ে রান ২৯৯। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন সৌম্য, ‘টি-টোয়েন্টি অনেক দিন খেলেছি। চেষ্টা করছি এই সংস্করণে ভালো করতে। তবে আমি সফল হতে পারিনি। ভুলের সংখ্যা বেশি ছিল।’
কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ ছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেট। তা ছাড়া এই সংস্করণটা তাঁর প্রিয়। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এখানেও সাফল্য পাননি। ১৫ ম্যাচে ২৩.২৬ গড়ে করেছেন ৩৪৯ রান।
প্রিমিয়ার লিগে ভালো করতে না পারার ব্যাখ্যাটা সৌম্য দিলেন এভাবেই। এটা আরেকটা সংস্করণ। যদিও একদিনের ক্রিকেট আমার প্রিয় সংস্করণ। তারপরও টি-টোয়েন্টির কারণে ছন্দটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ছন্দে ফিরতে প্রিমিয়ার লিগে কিছু পরিবর্তনও এনেছিলাম, যেমন—একটু ধীরে খেলা। পরে চিন্তা করে দেখেছি, আগে যেভাবে খেলতাম, ওটাই ভালো ছিল। আবারও সেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিকে কিন্তু ভালোই করছিলাম। যে ভুলগুলো করেছি, সামনে লক্ষ্য থাকবে সেগুলো সংশোধন করা।’
সৌম্যকে অবশ্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ৮৪, ৪৭, ৪০ রানের তিনটি ইনিংস। তবে নিজের ভুলটা চিহ্নিত করতে পারাটা একটা বড় স্বস্তি। এখন তাঁর লক্ষ্য, সামনে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে স্বরূপে ফেরা, ‘পরবর্তী খেলা ওটাই। এই সিরিজে আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। ওয়ানডেতে সুযোগ পেলে অবশ্যই আমাকে ভালো খেলতে হবে।’