হ্যালোটুডে ডটকম: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই পুরো ক্রিকেটবিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া। চরম উত্তেজনার এই ম্যাচের জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন।
ভারতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুই দলের মহারণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ধর্মশালায়। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের সেই ম্যাচটিতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
জানুয়ারিতে পাঠানকোঠে জঙ্গি হামলায় কিছু ভারতীয় নাগরিক মারা যায়। স্থানীয় জনগন মনে করছে সেই হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল পাকিস্তানের জঙ্গিরা। তাই নিহতদের সম্মানের কথা বিবেচনা করে ধর্মাশালা থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান করেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সুখেন্দর সিং সাধু বলেন, ‘এখানে বাকি নয়টি ম্যাচ নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পাক-ভারত ম্যাচ আমরা হতে দেব না। এখানে পাক-ভারত ম্যাচ খেলতে দেওয়া মানেই জঙ্গি হামলায় নিহত এবং তাদের পরিবারকে অসম্মান করা।’
ইতিমধ্যেই ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারকে অনুরোধ করেছেন কংগ্রেসের আরেক নেতা বীরভদ্র সিংহ। খারাপ পরিস্থিতি সামলাতে ও নিরাপত্তা দিতে যে পরিমাণ পুলিশি ব্যবস্থা নিতে হবে ততটা নাকি নেই হিমাচল প্রশাসনের কাছে। যে কারণে এই ম্যাচ সরানোর জন্য অনুরোধ এসেছে কেন্দ্র সরকারের কাছে। কিন্তু বাধ সাধছেন আবার বিজেপি সংসদ সদস্য ও বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর।
হিমাচল প্রদেশ সরকার জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করলেও স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এই ম্যাচ নিজের এলাকাতেই করতে বদ্ধপরিকর। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, ‘ধর্মশালায় ম্যাচ আয়োজন করে যাতে কৃতিত্ব না নিতে পারেন সে কারণেই এই ম্যাচ ভেস্তে দিতে চাইছেন বীরভদ্র শিবির।’ অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ম্যাচ ধর্মশালায় হবেই। ভেন্যু পরিবর্তনের কোনো সম্ভবনা নেই।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি আগামী ১৯ মার্চ ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।