কদিন আগেই ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সঙ্গে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন রাজিন সালেহ। আজ বিকেএসপিতে আবাহনীর বিপক্ষেও একই সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) অধিনায়ক। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। আউট হয়েছেন সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থেকে।
৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে যায় সিসিএস। এর মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগে ধারাবাহিক ভালো খেলা সাইফ হাসান ও সালমান হোসেনের দুটি উইকেট। চাপের মধ্যে দলকে এগিয়ে নেয় সাইফউদ্দিন ও রাজিনের চতুর্থ উইকেট জুটি, দুজনে যোগ করেন ১২৩ রান।
রাজিন অবশ্য শুরু থেকেই এগিয়েছেন শম্বুকগতিতে। প্রথম ২০ বলে সিসিএস অধিনায়কের রান ৩। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৮৩ বলে। পরেও যে হাত খুলে মেরেছেন, তা নয়। অমিত কুমারকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর রান ১৩৫ বলে ৯৫। দু-দুবার ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন রাজিন। আবুল হাসানের করা ২৮তম ওভারের প্রথম বলেই পয়েন্টে তাঁর লোপ্পা ক্যাচ ছেড়েছেন বদলি ফিল্ডার জুবায়ের হোসেন। সিসিএস অধিনায়কের রান তখন ৫৪। ৭৪ রানে লংঅনে রাজিনের আরেকটি ক্যাচ ছেড়েছেন সাকিব আল হাসান। দুবার সুযোগ পেয়েও তিন অঙ্ক না করতে পারার আফসোস নিশ্চয় ছুঁয়ে যাচ্ছে সিসিএস অধিনায়ককে। রাজিনকে সঙ্গ দেওয়া সাইফউদ্দিন করেছেন ১০২ বলে ৫০ রান।
রাজিন আউট হওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সিসিএসের ব্যাটিং অর্ডার। ৩ উইকেটে ১৬৯ রান থেকে ২০৫ রানে অলআউট—৩৬ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে দলটি।
ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস যদি রাজিন হন, বোলিংয়ে সাকিব। ৩৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদও, ২২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে সিসিএসকে শুরুতেই ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করেছেন আবুল হাসান। ১৬ রানে সিসিএসের যে ২ উইকেটে পড়েছে দুটিই আবাহনীর পেসারের।
২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ১২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলে ফেলেছে আবাহনী। তামিম ইকবাল অপরাজিত ৩২ ও নাজমুল হোসেন ১৯ রানে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খেলা বন্ধ রয়েছে বৃষ্টির কারণে ।