স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে কাল হেডিংলিতে যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন—কে আগে পাঁচ উইকেট নিতে পারে। শ্রীলঙ্কার শেষ ব্যাটসম্যান শামিন্দা ইরাঙ্গাকে আউট করে সেই প্রতিযোগিতায় জিতেছেন অ্যান্ডারসন। সঙ্গে রেকর্ড বইয়েও নিজেকে উঠিয়ে নিলেন আরেক ধাপ ওপরে। ৪৩৮ উইকেট নিয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় কপিল দেবকে টপকে গেছেন ইংলিশ পেসার। শুধু পেসারদের হিসেব করলে অ্যান্ডারসন এখন টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
তাঁর ওপরে কোন দুজন পেসার আছেন, সেটি অনুমান করে নিতে অবশ্য কষ্ট হওয়ার কথা নয়—সাবেক অস্ট্রেলিয়ান বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩ উইকেট) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯)। পেসার-স্পিনার মিলিয়ে হিসেবটা করলে অবশ্য অ্যান্ডারসন থাকবেন ছয় নম্বরে। সেখানে ম্যাকগ্রা-ই তো চতুর্থ, সেরা তিনটি জায়গা দখল করে রেখেছেন তিন স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮), অনিল কুম্বলে (৬১৯)।
বয়স ৩৪ ছুঁই ছুঁই, অ্যান্ডারসনের পক্ষে তালিকায় এর চেয়ে বেশি ওপরে ওঠা হয়তো সম্ভবও নয়। ওয়ালশের চেয়ে এখনো ৮১ উইকেট পিছিয়ে তিনি। তবে যে কীর্তি গড়েছেন, সেটিই বা কম কী! অনেকের চোখে তিনি টেস্টে সব সময়ের সেরা ইংলিশ বোলারদের একজন, তাঁর সুইং বোলিংও শিল্পের স্বাদ দিয়ে যায়। সেই শিল্পের স্বীকৃতি অ্যান্ডারসন পেলেন রেকর্ড বইয়েও। ক্যারিয়ার শেষে যখন দেখবেন, কপিল দেব, রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১), শন পোলকদের (৪২১) মতো বোলারদের পেছনে ফেলে এসেছেন, একটু গর্ব তো হবেই।
কপিল দেবকে ছুঁতে কাল একটি উইকেটই দরকার ছিল অ্যান্ডারসনের। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি, নিজের তৃতীয় ওভারে লঙ্কান ওপেনার কৌশল সিলভাকে ফিরিয়ে দেন ‘জিমি’। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করে রেকর্ড বইয়ে কপিলকে পেরিয়ে যাওয়া। এরপর দিনটাকে আরও রাঙিয়ে নেওয়া একে একে দাসুন শানাকা, রঙ্গনা হেরাথ ও ইরাঙ্গাকে ফিরিয়ে দিয়ে।
অ্যান্ডারসনের সঙ্গে স্টুয়ার্ট ব্রডও জ্বলে ওঠায় ধসে পড়ল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। ইংল্যান্ডের ২৯৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ম্যাথুসরা অলআউট হয়ে গেছেন মাত্র ৯৯ রানে, ফলো অনের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নামতে হয়েছে কাল। সূত্র: ক্রিকইনফো।