আবাহনীকে ৮ উইকেটে সহজেই হারাল মোহামেডান।আবাহনীকে ১৮৩ রানে শেষ করে দিয়েই জয়ের ক্ষেত্রটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। বাকি কাজটা খুব ভালোভাবেই শেষ করলেন ব্যাটসম্যানরা। ৩৭ বল বাকি রেখে মাত্র ২ উইকেট খুইয়েই মোহামেডানকে তাঁরা পৌঁছে দিলেন জয়ের বন্দরে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে একেবারেই একতরফা জয় পেল আজ মোহামেডান।
মোহামেডানের শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গার ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৭৭ রান। এজাজ আহমেদ করেছেন ৪২। পুরো লিগে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটানো অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম অবশ্য আজ বেশি কিছু করতে পারেননি। আউট হয়ে গেছেন মাত্র ১৭ রানেই। তবে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে মোহামেডানের জয়টা নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন নাঈম ইসলাম।
আবাহনীর ১৮৩ রানের জবাবে শুরুটা দারুণভাবেই করেছিল মোহামেডান। তবে দলীয় ১৯ রানের মাথায় সৈকত আলী (ব্যক্তিগত ১৩ রানে) হাতের কবজিতে চোট পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। লঙ্কান ব্যাটসম্যান থারাঙ্গা আর এজাজ আহমেদের মধ্যে গড়ে ওঠা ৯৭ রানের জুটিটিই আবাহনীকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে। থারাঙ্গা এরপর নাঈমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আরও ৬৯ রান তুলে নিশ্চিত করেন মোহামেডানের দারুণ এক জয়। থারাঙ্গার অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসটি গড়া ১০৫ বলে। যাতে ছিল ৭টি চারের মার।
ব্যাট হাতে দলের সম্মান বাঁচিয়েছিলেন। বল হাতেও সফল তাসকিন আহমেদ। যে দুটি মাত্র উইকেট পড়েছে মোহামেডানের, একটি তাঁর। সেটাও মোহামেডান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। অন্য উইকেটটি পেয়েছেন অমিত কুমার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী: ৪৮.৪ ওভারে ১৮৩/১০ ( নাজমুল হোসেন শান্ত ৪২, তাসকিন ৩৮, শুভাশিস ৩/৩৪)
মোহামেডান: ৪৩.৫ ওভারে ১৮৫/২ ( উপুল থারাঙ্গা ৭৭*, এজাজ আহমেদ ৪২, তাসকিন ১/৪২)
ফল: মোহামেডান ৮ উইকেটে জয়ী