খুব ছোটবেলার একটা কাহিনি! শচীন টেন্ডুলকারের সেই ঘটনা মনে হলেই হাসি পায়। কী বোকাই না ছিলেন তখন। মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে পুনেতে খেলতে গিয়ে কপর্দকশূন্য হয়ে ফিরেছিলেন তিনি। কেবল পকেটের টাকার ব্যবস্থাপনাটা ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই অমন অভিজ্ঞতা মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
টেন্ডুলকারের তখন ১২ বছর বয়স। মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে পুনেতে গিয়ে খেলার সুযোগ পেলেন। বাড়ি থেকে টাকাপয়সা নিয়েই পুনে গিয়েছিলেন, কিন্তু সে টাকা তো নামমাত্র! একেবারে হিসেব কষা। কিন্তু গোল বাধাল খেলার মধ্যে একদিনের অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি। মাঠের পারফরম্যান্সটা সে সফরে একেবারেই ভালো হয়নি তাঁর। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। বেরসিক বৃষ্টি দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামারই সুযোগ দিল না। বৃষ্টির কারণে খেলা না হওয়া ফাঁকা দিনটির কারণেই পকেট ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল টেন্ডুলকারের।
অজ্ঞানতাবশতই টেন্ডুলকার সেদিন টাকার টানাটানিতে পড়ে গিয়েছিলেন , ‘বৃষ্টির কারণে যে দিনটা হাতে পেয়েছিলাম, সবাই এদিক-ওদিক ঘুরে, সিনেমা দেখে, খেয়ে সময় কাটিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পয়সার পুরোটাই সেদিন শেষ করে এসেছিলাম। স্রেফ আর্থিক ব্যবস্থাপনাটা না জানার কারণেই এমনটা হয়েছিল। খুব ছোট ছিলাম বলেই তখন জানতাম না পকেটের পয়সা কীভাবে বাঁচিয়ে চলতে হয়!’
সেদিনের কথা মনে করেই আজকের ব্যাংকিং–ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা তাঁর, ‘পুনের সেই দিনটিতে যদি এখনকার মতো ব্যাংকিং সুবিধা থাকত, তাহলে কত ভালো হতো, ভাবি! আমার পকেটের মোবাইল ফোনটা দিয়েই আর্থিক সমস্যার সমাধান করে ফেলতাম। বাড়িতে ফোন করে সমস্যার কথা বলতেই হয়তো বাড়ি থেকে এসএমএস ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা চলে আসত!’ সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।