শেষ ওভারে ৯ রান দরকার, হাতে ৪ উইকেট। ক্রিজে ৮৪ বলে ৮৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র। ওপাশে মাশরাফি বিন মুর্তজার রান ৮ বলে ১২। ৯ রান কোনো ব্যাপার হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কলাবাগান ক্রীড়াচক্র সেটাই করতে পারল না। প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে শেষ পর্যন্ত হেরে গেল ৪ রানে। শেষ তিন বলে হয়েছে তিনটি রান আউট—ম্যাচটা কতটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে! সব মিলিয়ে কলাবাগানের ইনিংসে রান আউট হয়েছে ৫টি!
ফতুল্লায় রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচে শেষ ওভার যেন রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়েই বসেছিল। আল আমিনের ওই ওভারের প্রথম দুই বলে মেহরাব কোনো রান নিতে পারেননি। পরের বলে ১ রান নিলেন, স্ট্রাইকে এলেন মাশরাফি। চতুর্থ বলে মাশরাফি দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে পারলেন না, রানআউট হয়ে গেলেন মেহরাব। পরের বলে আবারও সেই দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই রান আউট দেওয়ান সাব্বির। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। সেই বলে আবারও রান আউট, এবারও দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন মাশরাফি নিজেই।
এর আগে নাসির হোসেনের ৯৭ ও ইমতিয়াজ হোসেনের ৭৩ রানে ভর করে প্রাইম দোলেশ্বর ৫০ ওভারে করেছিল ২৮৭। জসিম উদ্দিন (৪৫), তাসামুল হক (৪৪) ও তানভীর হায়দারকে (৪৪) নিয়ে সেটি টপকে যাওয়ার পথে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মেহরাব জুনিয়র। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রাইম দোলেশ্বরের মুখেই হাসি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ মুখ অন্ধকার করে মাঠ ছাড়তে হলো মাশরাফিকে। এবার আক্ষরিক অর্থেই পরাজিত সৈনিকের মতো মাঠ ছাড়লেন তিনি।