তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে লড়তে চেয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। কিন্তু কাল ফতুল্লায় অভিজ্ঞতার কাছে মার খেল তারুণ্য। মাহমুদউল্লাহর শেখ জামাল ধানমন্ডির কাছে পাত্তাই পেল না মাহমুদুল হাসানের কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। একতরফা ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতল শেখ জামাল। শেখ জামাল কলাবাগান একাডেমির ১৫২ রান পেরিয়ে গেছে ১৪০ বল হাতে রেখেই।
শেখ জামালের জয়ের নায়ক ডানহাতি পেসার মুক্তার আলী। স্কোরকার্ড ভুল বোঝাতে পারে, কিন্তু কাল ফতুল্লায় খেলা হয়েছে নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে। আর সেখানেই বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি খেলা মুক্তার। ৭ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট—মুক্তারের বোলিংয়েই মুখ থুবড়ে পড়েছে কলাবাগান একাডেমি।
একাডেমির শুরুটা কিন্তু ভালোই ছিল। ৬ ওভারে ২৪ রান তুলে ফেলেছিলেন দুই ওপেনার ইরফান শুক্কুর ও মাইশুকুর রহমান। মাহমুদউল্লাহ তখনই ডেকে নেন মুক্তারকে। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান, ১ রান পরের ওভারেও। গতি হারানো একাডেমির ইনিংস বড় ধাক্কা খেল মুক্তারের তৃতীয় ওভারে। তিন বলের মধ্যে আউট শুক্কুর ও নতুন ব্যাটসম্যান দিদার হোসেন। দুজনই বোল্ড। এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি একাডেমি, ৪৪.৩ ওভারেই অলআউট ১৫২ রানে।
প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ১১ রান দেওয়া মুক্তার আক্রমণে ফিরেছেন ৪২তম ওভারে। ফিরেই আরও ২ উইকেট। পরপর দুই বলে তাপস ঘোষ ও আবু জায়েদকে উইকেটকিপার জাবিদের ক্যাচ বানালেও হ্যাটট্রিক পাননি মুক্তার। ওই ওভারের পঞ্চম বলে আবদুল হালিমের ফিরতি ক্যাচটা ছেড়ে না দিলে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটও পেয়ে যেতে পারতেন। তা হয়নি, তবে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংই করেছেন মুক্তার।
দিন শেষে তাই তৃপ্তিই ঝরেছে মুক্তারের কণ্ঠে, ‘শুরুটা ভালো করার ইচ্ছে ছিল। আশা করছি, পুরো মৌসুমই ভালো যাবে। ফ্ল্যাট পিচে জায়গামতো বল ফেলেছি। উইকেটও পেয়ে গেছি তাড়াতাড়ি। ওটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে আরও উইকেট নেওয়ার।’
মুক্তারের বোলিংয়ে মুগ্ধ মাঠে উপস্থিত জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশারও। রান তাড়া করতে নেমে দারুণ ব্যাট করছিলেন শেখ জামালের ওপেনার মাহবুবুল করিম। ৪১ বলেই ফিফটি করে ফেলেন, সেঞ্চুরিরই সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। তখনো বাশারের বিচারে মুক্তারই ছিলেন ম্যাচসেরা, ‘এই মরা উইকেটে সেঞ্চুরি কোনো বড় ব্যাপার না, আমি হলে মুক্তারকেই পুরস্কার দিতাম।’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য মুক্তারের হাতেই উঠেছে পুরস্কার।