ঘামে ভেজা বিধ্বস্ত শরীর। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকের ওপর বসে পড়লেন এলিটা কিংসলে। ক্লাবের বলবয় দৌড়ে এসে তাঁর পায়ের মোজা জোড়া খুলতে শুরু করলেন। কিংসলের পা দুখানি ছুঁয়ে দেখারই হয়তো ইচ্ছে ছিল উঠতি ওই কিশোর ফুটবলারের! একটু আগেই যে ঢাকার ফুটবলে বিরল এক কীর্তি গড়েছেন বিজেএমসির নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। এক ম্যাচেই করেছেন ৫ গোল। তাঁর এই ৫ গোলে স্বাধীনতা কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বিজেএমসির কাছে ৬-০ গোলে উড়ে গেছে ফেনী সকার।
কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিংসলের নামের পাশে ৮ গোল লেখা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। সহজ ২টি সুযোগ নষ্ট করেছেন, একটি শট পোস্টে লেগে ফিরেছে। ৩৭ মিনিটে গোল উৎসবের শুরু করেন এলিটা। ৩৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন, হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৪৫ মিনিটে। শেখ জামালের ওয়েডসন আনসেলমে, শেখ রাসেলের ফিকরু তেফেরা ও মুক্তিযোদ্ধার আবু মুসার পর চলতি স্বাধীনতা কাপে এটি চতুর্থ হ্যাটট্রিক। কিংসলে পরের দুটি গোল করেছেন ৪৬ ও ৭৩ মিনিটে। ৮৬ মিনিটে বিজেএমসির অন্য গোলটি করেছেন স্যামসন ইলিয়াসু।
৫ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে বিজেএমসি। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ থেকে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে শেখ রাসেল। কালকের জয়ে বিজেএমসির সেমিতে যাওয়ার স্বপ্নও টিকে রইল। আবাহনী পরের দুই ম্যাচে হেরে গেলে শেষ চারে যাবে বিজেএমসি। আবাহনী পরের দুটি ম্যাচ ড্র করলেও বিজেএমসির সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকছে।
এক মৌসুম মুক্তিযোদ্ধায় কাটিয়ে আবারও বিজেএমসিতে যোগ দিয়েছেন কিংসলে। এত দিন বাংলাদেশে খেললেও কালই পেয়েছেন এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি। এর আগে ২০০৮ সালে নাইজেরিয়ার প্রথম বিভাগের ক্লাবে এক ম্যাচে করেছিলেন সর্বোচ্চ ৬টি গোল। তবে কাল ৫ গোল করার কৃতিত্বের ভাগ দিলেন তিনি সতীর্থদেরও, ‘শুধু জয়ের কথা ভেবেই মাঠে নেমেছিলাম।
মোটেও ভাবিনি ৫ গোল করে ফেলব। গোলের সব কৃতিত্ব সতীর্থদের।’
আজকের খেলা
মুক্তিযোদ্ধা-শেখ জামাল
(বিকেল ৫-৩০ মি., বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)