হঠাৎ করেই আবার জমজমাট লা লিগার শিরোপা-লড়াই। লা লিগায় টানা চার ম্যাচে জয়হীন বার্সেলোনা, ২০০৩ সালের পর প্রথম টানা তিন ম্যাচে হার। ৩৩ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট ৭৬, অ্যাটলেটিকোরও তা–ই। ১ পয়েন্ট পেছনে থেকে রিয়াল মাদ্রিদ নিশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের ওপর।
বার্সার জন্য সামান্য স্বস্তি হতে পারে, হেড টু হেডে তারাই এগিয়ে। কিন্তু এই স্বস্তিটা আসলেই কতটুকু স্বস্তির? কী সমীকরণ দাঁড়াল এখন লা লিগায়?
দেপোর্তিভোর সঙ্গে এই সপ্তাহেই আবার মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তাদের মাঠে গিয়ে কাজটা মোটেই সহজ হবে না। দেপোর্তিভো তো গত ডিসেম্বরে ন্যু ক্যাম্পে এসে ২-২ গোলে ড্র করে গিয়েছিল। দেপোর্তিভোর অবস্থা অতটা ভালো নয়, ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ১৩ নম্বরে আছে। কিন্তু এই বার্সাকে পেলে ন্যু ক্যাম্পের আগের স্মৃতি জেগে উঠবে না, সেটা কে বলতে পারে? সর্বশেষ ১৯ ম্যাচে মাত্র একটি জয় তাদের। কিন্তু এর মধ্যে আট ম্যাচে ড্রও করেছে। আর এই মুহূর্তে এক ম্যাচে ড্র করা মানেই বার্সার সর্বনাশ।
বার্সার এর পরের ম্যাচটা অবশ্য কাগজে–কলমে সহজ। অবনমন অঞ্চলে থাকা স্পোর্টিং গিহনের সঙ্গে নিজেদের মাঠে জিততে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এর পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ রিয়াল বেটিসও পয়েন্ট তালিকার ১৪ নম্বরে ধুঁকছে। নিজেদের মাঠে ১৬ ম্যাচের ১০টিতে অপরাজিত রিয়াল বেটিস কি কঠিন পরীক্ষা নিতে পারবে বার্সার? বেটিস ম্যাচের পর কাতালুনিয়ান ডার্বিতে মুখোমুখি এসপানিওল। কী অদ্ভুত, দেপোর্তিভো, বেটিস, এসপানিওল এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার ১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত পরপর! আর এই মৌসুমের শেষ ম্যাচটা বার্সা খেলবে গ্রানাডার সঙ্গে। গ্রানাডাও লড়াই করছে অবনমনের সঙ্গে। খালি চোখে সহজ ম্যাচগুলো কিন্তু ইদানীং বার্সার জন্য অনেক কঠিন হয়ে উঠছে!
অ্যাটলেটিকো-রিয়াল মাদ্রিদেরও খুব বড় কোনো প্রতিপক্ষ নেই। অ্যাটলেটিকোর কাজটা তুলনামূলক সহজ, তাদের তিনটি ম্যাচই নিজেদের মাঠে। মালাগা, রায়ো ভায়েকানো ও সেল্টা ভিগোর সঙ্গে খেলতে হবে নিজেদের মাঠে। দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ অ্যাথলেটিক বিলবাও ও লেভান্তের সঙ্গে। লেভান্তে পয়েন্ট টেবিলের ১৯ নম্বর দল। তবে বরাবরই লড়াকু ক্লাব বিলবাও আছে পাঁচে। বলতে গেলে অ্যাটলেটিকোর এই একটাই বড় পরীক্ষা।
রিয়ালের পথ সেই তুলনায় একটু কঠিন। রিয়ালের তিনটি ম্যাচ প্রতিপক্ষের মাটিতে। ভায়েকানো, সোসিয়েদাদ ও দেপোর্তিভোর মাঠে গিয়ে খেলতে হবে রোনালদোদের। নিজেদের মাঠে দুইটি ম্যাচও সহজ হবে না, প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল ও ভ্যালেন্সিয়া।