ড্যারেন স্যামির সঙ্গে একমত ভিভ রিচার্ডস। ক্যারিবীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি তাঁদের পদত্যাগই দাবি করেছেন। বলেছেন, ‘স্যামি আর যা-ই করুক, বোর্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনতে পারে না, সে মিথ্যাবাদী নয়।’
স্যামির প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে ভিভের। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের তোলা অভিযোগগুলো সম্পর্কে বোর্ড খুব শিগগির নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে বলে আশা তাঁর, ‘আমি এখন বোর্ডের জবাবের অপেক্ষায় আছি। আমি দেখতে চাই তারা কি বলে।’
বিশ্বকাপ জিতেই বোর্ডের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন স্যামি। এমন ক্ষোভ বেশ অনেক দিন ধরেই দানা বাঁধছিল তাদের মনে। সেটা তারা আর ভেতরে চেপে রাখেননি। সবাইকে জানানোর জন্য কি একটা উপলক্ষই না বেছে নিলেন! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চ, যেখানে জয়ীর আসনে তারাই। সেদিন, সেই মুহূর্তে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব তাদের কথা শুনতে একরকম বাধ্যই ছিল। ভিভ মনে করেন, স্যামি একদম সঠিক সময়ে ঠিক কাজটিই করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্যামির যা করা উচিত ছিল সেটাই সে করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, স্যামি এটা বেশ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল। সবাই জানে স্যামি কী দারুণ একজন মানুষ। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দিন থেকেই খুব চমৎকারভাবে সে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যে একজন প্রকৃত নেতা। সে দলের জন্যই এটা করেছে। আমি খুবই খুশি। অবশেষে পুষে রাখা এই যন্ত্রণাগুলো থেকে সে মুক্তি পেল।’
৫০ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেওয়া ভিভ এখনকার সময়টাতে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের পুনর্জাগরণের ভালো সম্ভাবনাই দেখছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সাফল্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছেলে-মেয়ে দুইয়েরই শিরোপা জয়—ক্যারিবীয় ক্রিকেটে একটা ভিন্ন রকমের জোয়ার নিয়ে এসেছে। এখনই সময় তাদের দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করার। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলেরই তৎপর হওয়া খুবই জরুরি।
ইতিমধ্যেই অবশ্য বোর্ডের টনক নড়েছে। বোর্ড থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে দর্শক-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বোর্ডের প্রধান ডেস্ক ক্যামেরন। আরও জানানো হয়েছে, যেসব বিষয়ে সমস্যার কথা বলা হয়েছে, বোর্ডপ্রধান তা গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন।