অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ওই ডার্বির কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নইলে জিনেদিন জিদান দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ মানেই তো বড় জয়ের নিশ্চয়তা! কাল তাই সেভিয়ার সঙ্গে রিয়ালের ৪-০ গোলের জয়টা তেমন কোনো বিস্ময়ই নয়। তবে এই ম্যাচে পেনাল্টি যেমন রিয়ালকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে, তেমনি অস্বস্তির কাটাও হয়ে থেকেছে।
আনন্দের উপলক্ষটাই এসেছে আগে। ৬ মিনিটে করিম বেনজেমার দুর্দান্ত এক ভলিতে এগিয়ে যায় রিয়াল। ২৭ মিনিটেই সেভিয়া পেনাল্টি পেলেও কেইলর নাভাসের কল্যাণে তা থেকে সমতায় ফিরতে পারেনি। নাভাস এর মধ্যেই গোলপোস্টের নিচে রিয়ালের বড় ভরসা, আর পেনাল্টি হলে তো কথাই নেই। গত কিছুদিনে সেই কাজে যেন তিনি দারুণ সিদ্ধহস্ত; তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন এই মৌসুমেই। রিয়ালের হয়ে এক মৌসুমে তিনটি পেনাল্টি ঠেকানোর কীর্তি আছে শুধু ওই ইকার ক্যাসিয়াসেরই (২০০৮-০৯ মৌসুমে)।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অবশ্য কাল পেনাল্টির স্মৃতি মুছেই ফেলতে চাইবেন। ৫৮ মিনিটে স্পটকিক থেকে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নেওয়া পেনাল্টিটি চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। এই মৌসুমে পেনাল্টি যেন এক ধাঁধাঁয় পরিণত রোনালদোর জন্য, এর মধ্যেই তিনটি পেনাল্টি থেকে তিনি গোল করার সুযোগ নষ্ট করেছেন। রিয়ালের হয়ে এক মৌসুমে এর আগে কখনো এতগুলো পেনাল্টি রোনালদো নষ্ট করেননি।
রোনালদো অবশ্য সেই হতাশা ভুলেছেন ৬৪ মিনিটেই। ম্যাচে নিজের প্রথম গোল পেয়েছেন, সেভিয়ার সঙ্গে লা লিগায় এটি ছিল ২০ তম। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটাই রোনালদোর সবচেয়ে বেশি গোল। ৬৬ মিনিটে ‘বিবিসির’ রাতটায় পূর্ণতা এনেছেন গ্যারেথ বেল, ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করে। ৮৬ মিনিটে সেভিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন হেসে রদ্রিগেজ।
আগে বার্সেলোনা ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ড্র করায় রিয়াল-বার্সা ব্যবধান কমে এসেছে ১০ পয়েন্টে। তবে মৌসুমের যখন ৮ ম্যাচ বাকি, তখন এই ব্যবধানই অনেক বড়। শিরোপার বাতিঘরটা তাই রিয়ালের কাছে এখনো অনেক দূরেরই!