শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রন সংস্থা আইসিসি। এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, স্পিনার আরাফাত সানির বেশির ভাগ ডেলিভারি ১৫ ডিগ্রির সীমা ছাড়িয়ে যায়। অপরদিকে তাসকিনের কিছু ডেলিভারিতে সমস্যা প্রমানিত হয়।
তিনি তাসকিনের অ্যাকশান জনিত পরীক্ষার ফলাফল দেখে বলেন, তাসকিনের স্টক ডেলিভারি ও ইয়র্কায়ে কোন সমস্যা পায়নি আইসিসি। কিন্তু বাউন্সারে সমস্যা পাওয়া গেছে।
সন্দেহের সৃষ্টি হয় তাসকিনের বাউন্সার পরীক্ষা নিয়েই। কারন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন আহমেদের করা চার ওভারে কোন বাউন্সার ছিল না। কর্তব্যরত দুই আম্পায়ার ভারতের এস রবি ও অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার তাসকিনের স্টক ও ইয়র্কার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল আসে।
সুতরাং পরীক্ষাগারে তাসকিনের বাউন্সারের পরীক্ষা নেয়ার কথা না। কিন্তু চেন্নাইয়ের আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ৯ টি বাউন্সার করতে বলা হয় তাসকিনকে। যার মধ্যে তিনটি অবৈধ প্রমানিত হয়।
আইসিসির ২.২.১৩ ধারার নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলারের নির্দিষ্ট কোন ডেলিভারি কিংবা স্টক ডেলিভারিতে সমস্যা থাকলে সেই বোলারকে সতর্ক করে দেয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই বোলার খেলতে পারবে।
তাসকিনের ক্ষেত্রে তার স্টক ডেলিভারি ও ইয়র্কারের শুদ্ধতা প্রমানিত হয়। বাউন্সারে সমস্যা ধরা পড়ে যেখানে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন একটিও বাউন্সার করেননি। কিন্তু তারপরও তাকে সতর্ক না করে নিয়ম ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সব কিছু মিলিয়ে বলা চলে তাসকিন আহমেদ এক রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বিসিবি’কে বিষয়টি পর্যালোচনা করার কথা বলেন এবং প্রয়োজনে সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক আদালতে ব্যাপারটি তুলে ধরতে উপদেশ দেন।