dszc

শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা ছবিতে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে। যদিও জিৎ, অঙ্কুশ, সোহম এবং সাম্প্রতিকালে ওমের বিপরীতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু তাছাড়াও তিনি এমন দু’তিনজনকে নায়ক হিসেবে পেয়েছেন তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ারে, যাঁদের খুব একটা চেনেন না বাংলা ছবির দর্শক। যেমন ‘মেঘ-রোদ্দুর’ ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন পলাশ গঙ্গোপাধ্যায়। ঠিক তেমনই অনেকেই জানেন না, শুভশ্রীর প্রথম ছবির নায়ক ছিলেন অনুভব মোহান্তি এবং শুভশ্রীর জীবনের প্রথম ছবিটি আদৌ কোনও বাংলা ছবি ছিল না। ওড়িয়া ছবি ‘মাতে তা লভ হেলা রে’ দিয়েই ‘নায়িকা’-জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। সেটা ২০০৮ সাল। ওই বছরই মুক্তি পায় তাঁর প্রথম বাংলা ছবি ‘বাজিমাত’ যেখানে নায়ক ছিলেন সোহম।

কিন্তু মুক্তির তারিখ অনুযায়ী ওড়িয়া ছবিটিই প্রথম। শুভশ্রী-অনুভব-এর ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালের মার্চ মাসে আর ‘বাজিমাত’ মুক্তি পায় সে বছর জুন মাসে। এছাড়া ওই বছরই মুক্তি পেয়েছিল প্রভাত রায়ের ‘পিতৃভূমি’, যেখানে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন শুভশ্রী। তাই বাংলা ছবির পরিপ্রেক্ষিতে শুভশ্রীর প্রথম নায়ক সোহম হলেও, আসলে কিন্তু তিনি চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছেন অনুভবের সঙ্গে জুটি বেঁধেই। শুভশ্রীর চেয়ে ফিল্মি কেরিয়ারে চার বছরের সিনিয়র অনুভব।

বাংলা ছবির দর্শক সেভাবে তাঁকে না চিনলেও তিনি কিন্তু একজন স্টার। ওড়িয়া ছবির প্রথম সারির নায়ক তিনি। বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন, যেমন কোয়েল মল্লিকের বিপরীতে ‘প্রেমী নম্বর ওয়ান’। এছাড়া ‘কালীশঙ্কর’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আনন্দলোক পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

অনুভবের প্রথম বাংলা ছবি ছিল ‘সাথী আমার’। নায়িকা ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভশ্রী যেমন বাংলার অন্যতম প্রধান নায়িকা, অনুভবও কিন্তু এই মুহূর্তে ওড়িয়া ছবির জগতে হায়েস্ট পেইড অভিনেতা। দু’বছর হল বিয়ে করেছেন অনুভব। স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী নিজেও অভিনেত্রী। এছাড়া রাজনীতিতেও নেমেছেন অনুভব, বিজু জনতা দলের হয়ে। ২০১৪ সালেই তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এবেলা