ug
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা বাংলাদেশ জিতে যেতে পারত এক ম্যাচ হাতে রেখেই। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ পা রাখতে পারত নির্ভার চিত্তে, ফুরফুরে মেজাজে। শুক্রবারের প্রথম ওয়ানডেটা কীভাবে হারল বাংলাদেশ ! ইংল্যান্ডের ৩০৯ রান তাড়া করে ৫১ বলে দরকার ৩৯, হাতে ৬ উইকেট; এমন একটা অনুকূল অবস্থাতেও ম্যাচটা বের করতে পারেনি দল, কেবল আত্মহননের মিছিলে হেঁটে। চট্টগ্রামের ম্যাচটা হেরে শেষ অবধি সিরিজ খুইয়ে অধিনায়ক মাশরাফির আফসোস প্রথম ওয়ানডেটি নিয়েই।

‘আমরা ওই ম্যাচটি আরও হিসাব কষে খেলতে পারতাম যদি…’ মাশরাফির কণ্ঠে আক্ষেপ। তাঁর মতে, ‘আপনি যদি কোনো ভুল করেন, সেটি পুরো সিরিজে টেনে নিতে হয়। যেটি আজ আমাদের হলো। প্রথম ম্যাচটি আমরা যদি ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম, আজ আমাদের এমন হতো না।’

চট্টগ্রামের শেষ ম্যাচটিতেও দল অনেক ভুল করেছেন বলে অভিমত মাশরাফির। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। স্কোরবোর্ডে শেষ পর্যন্ত ২৭৭ রান উঠলেও সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত বলেই মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘৩১ ওভারে এসে আমাদের ছন্দপতন হলো। পরের নয় ওভার আমরা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি। ওই সময়টা আমরা ঠিকমতো খেলতেই পারিনি। উইকেট অবশ্য টার্ন করছিল। ব্যাটিং করাটাও কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। আমাদের সুযোগ ছিল ৩০০ রানের বেশি করার।’

​ম্যাচের শেষ দিকে ক্রিস ওকসের ক্যাচ স্লিপে দাঁড়িয়ে ফেলে দিলেন ইমরুল কায়েস। ওই ক্যাচটি নিতে পারলে ইংল্যান্ড একটু চাপেই পড়ে যেত। পুরো ব্যাপারটিকে মাশরাফি দেখছেন ‘মানসিক ব্যাপার’ হিসেবে, ‘আমি বলব না ক্যাচ ধরার স্কিল নেই। পুরো ব্যাপারটিই কিন্তু মানসিক। খেলা শেষের আগেই ম্যাচ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ফিল্ডারদের বলের প্রত্যাশায় থাকতে হবে। সব সময় মনে করতে হবে যে বল আমার কাছে আসবে। ক্রিকেটে তো কত কিছুই হতে পারে। ওই ক্যাচটা নিতে পারলে ৭ উইকেট পড়ে যেত। পরের ভালো দুটি বলে আরও দুটি উইকেট চলে যেতে পারত। সবচেয়ে বড় কথা, বেন স্টোকসের ওপর চাপ বাড়ত।’