fg

বাংলাদেশে খেলতে এসে এখন কোনো দলই নিরাপদ নয়। না, এই ‘নিরাপদ’ খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা প্রশ্নে নয়। ক্রিকেট মাঠেই। বাংলাদেশ যে ঘরের মাঠে টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল! ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আজ এই প্রশ্নটা তাই উঠল—এই সিরিজে কি বাংলাদেশই এগিয়ে?

প্রশ্নকর্তা প্রথমেই নিজের যুক্তি দিয়ে দিলেন। ওয়ানডেতে সর্বশেষ চারবারের মুখোমুখিতে তিনবারই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শেষ দুবার আবার বিশ্বকাপেই! দেশের মাটিতেও বাংলাদেশ এখন মহা শক্তিধর। ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জস বাটলারও প্রশ্নকর্তার সঙ্গে দ্বিমত করলেন না, ‘সম্ভবত (হেসে) বাংলাদেশই এগিয়ে। বাংলাদেশ শেষ তিনবার (দুবার) জিতেছে। তবু এখানে তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে আসাটা আমাদের জন্য দারুণ। আর গত ১৮ মাসে আমরাও খুব ভালো খেলছি। উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট খেলছি।’
তা উত্তেজনাকর ক্রিকেট ইংল্যান্ড আসলেই খেলছে। বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ৩০টি ওয়ানডে খেলেছে। এর মধ্যে ১৩টি ওয়ানডেতেই ৩০০ ছাড়িয়েছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৬ ইনিংসে করেছে ৩৫০ কিংবা এর চেয়ে বেশি রান। কদিন আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪৪ রান করে ওয়ানডের বিশ্ব রেকর্ডও দখল করে নিয়েছে তারা।
এক সময়ের ঘুম ধরানো দলটি এখন আসলেই উত্তেজনাকর ক্রিকেট খেলে। তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলার ধরনটা বদলাতে বাধ্য করতে পারে তাদের, ‘অবশ্য কন্ডিশনও নিয়ন্ত্রণ করবে কীভাবে খেলব আমরা। আমি সবাইকে আক্রমণাত্মক খেলতেই বলব। এখানে হয়তো আক্রমণের ধরনটা একটু পাল্টাতে হবে।’
বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেও সিরিজ জেতার হুমকি কিন্তু দিতে ভোলেননি বাটলার। ইংল্যান্ডের লক্ষ্য যে এখন বিশ্বসেরা হওয়ার, ‘বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খুব ভালো করছে। কিন্তু আমরা নিজেদের নিয়েই ভাবতে পছন্দ করি—আমাদের শক্তি কোথায় এবং আমরা কীভাবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়ব। আমাদের অনেক মেধাবী তরুণ খেলোয়াড় আছে। তারা নিজেদের চেনাতে চায়। আমরা ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা হতে চাই। সেটা করতে হলে, যে কোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, যে কোনো উইকেটে খেলতে হবে।’