lp

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ব্যস্ত অভিনেত্রী পরীমনি। খুব অল্প সময়ে ক্যারিয়ারের পারদ ওপরে উঠে গেছে পরীমনির। অভিনয় দক্ষতা আর লুক তাঁকে এখন ঢালিউডের অন্যতম অভিনেত্রী বানিয়েছে। কিন্তু পরীমনির নায়িকা হওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী চম্পা। পরীমনি ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ছবি রক্তের ডাবিং-এর জন্য রয়েছেন কলকাতায়। সে গল্পই কলকাতা থেকে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে শোনালেন পরীমনি।

২০১৩ সালের মাঝামাঝির দিকের ঘটনা। পরীমনির কাজিন ‘সজল’ একটা ধারাবাহিক প্রযোজনা করছিলেন। এশিয়ান টিভিতে প্রচারিত ‘সেকেন্ড ইনিংস’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছিলেন চম্পাও। কিন্তু সেখানেই হুট করে এক উঠতি তরুণীর প্রয়োজন পড়ে। বলা যায় বেশ ভালো একটা ক্যারেক্টার রোল প্লে করতে হবে। কাজিন সজল পরীমনিকে বললেন ‘তুমি দেখো তো এটায় অভিনয় করতে পারবে কি না!’ পরীমনি অবাক হয়ে বললেন ‘আমি অভিনয় করবো? কিভাবে?’ কাজিন সাহস দিলেন। পরীর ভাবিও বললেন তুমিও পারবে। পরেরদিনই স্ক্রিনটেস্ট হলো এবং ওইদিনই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন পরী। এবং যথারীতি সেকেন্ড ইনিংস ধারাবাহিকের মাধ্যমে পরীর প্রথম ইনিংস শুরু হয়ে গেল।

পরীমনি বলেন, সেকেন্ড ইনিংস ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন চম্পা ম্যাডাম। তিনি একদিন আমাকে ডেকে বললেন- এই পরী তোকে নায়িকার মতো লাগে। তুই তো চলচ্চিত্রের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে পারবি। এরপর থেকে দেখি চম্পা ম্যাডাম বিভিন্ন জনকে বলতে লাগলেন এই মেয়েতো সিনেমার নায়িকার রোল করতে পারবে। এর লুক ভালো, বড় পর্দায় কাজ করতে পারবে। এভাবেই তিনি বিভিন্ন পরিচালককেও বললেন। ‘

ডিরেক্টররাও পরীকে খেয়াল করলেন। চম্পা ম্যাডামের চাপাচাপিতে ঠিকই একজন ডিরেক্টর পরীকে নায়িকার চরিত্রে নিয়ে নিলেন। পরী সাইন করলেন বড় পর্দার প্রথম ছবি সীমাহীন ভালোবাসায়। পরী বলেন, ‘আসলে চম্পা ম্যাডামের উৎসাহের কারণেই তো আমি সিনেমার নায়িকা হয়ে গেলাম।’