yjhn

যেন অদৃশ্য একটা যুদ্ধক্ষেত্র মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দুজনকে। চাপা একটা স্নায়ুযুদ্ধও কি টের পাওয়া যাচ্ছে? ডিয়েগো ম্যারাডোনাই সেখানে বেশি আক্রমণাত্মক, মেসিকে সরাসরি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন ‘নাটুকে অভিনেতার’ কাঠগড়ায়। মেসি অতটা স্পষ্টবক্তা নন, তবে কাল যা বললেন তাতে বোঝা গেল, ম্যারাডোনার কথাটা তাঁর অহমে লেগেছে। দলকে জেতানোর পর মেসি সোজা বলে দিলেন, কাউকে ধোঁকা তিনি ​দেননি।

কোপা আমেরিকা থেকে বিদায়ের পরেই সবাইকে অবাক করে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। এর পর অনেকেই অনুরোধ করেছেন মেসিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে। এদগার্দো বাউজা মেসিকে আবার দলে ফেরাতে রাজি করাতে পেরেছেন। কিন্তু সবকিছুই যখন বাংলা চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের মতো ‘হ্যাপি এন্ডিং’য়ের দিকে যাচ্ছিল; ম্যারাডোনা ‘বেরসিকের’ মতো একটা খোঁচা দিয়ে বসলেন। কয়েক দিন আগেই দাবি করলেন, মেসি টানা তিন ফাইনালে হেরে যাওয়ার দুঃস্মৃতিটা সরিয়ে দিতে এসব নাটক সাজিয়েছেন!
কিন্তু মেসি কি এত কিছুর পরও চুপ করে থাকবেন? প্রথম জবাবটা মাঠেই দিয়েছেন, গোল করে উরুগুয়ের সঙ্গে এনে দিয়েছেন মহামূল্যবান একটা জয়। এর পর ম্যাচ শেষে পরের জবাবটা দিলেন মুখেই, ‘জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। তবে আমি বলতে পারি, আমি কাউকে ধোঁকা দিইনি।’ কিন্তু তাহলে দলে আবার ফেরার সিদ্ধান্ত বদলালেন কেন? মেসি জানালেন, আবেগ থেকেই ছিল ওই সিদ্ধান্ত, ‘ওই সময় (কোপা ফাইনালের) পর আমি খুবই বিপর্যস্ত ছিলাম। কিন্তু পরে ব্যাপারটা নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছি। আমি পাতোনের (বাউজার) সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কাছের মানুষরাও সিদ্ধান্তটা নিতে আমাকে সাহায্য করেছে।’