hil

নাঈম-শাবনাজকে নিয়ে ‘লাভ’ ছবির শুটিং করছিলাম। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দমেলা থেকে ডাক এলো। ওরা হিন্দি ‘সনম বেওয়াফা’, ‘দিল’, ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবির কপিরাইট এনেছে। আমাকে একটি ছবি করার প্রস্তাব দিল। নাঈম-শাবনাজকে নিয়েই ছবিটি বানাতে বলল। অগ্রিম টাকা নিয়ে সেদিন রাতেই দেখা করলাম। ওরা টাকা নিল না। নাঈম বলল, কিছুদিন পর ‘দিল’ মুক্তি পাবে। ফলাফল দেখে নতুন ছবি হাতে নেবে। প্রযোজক বললেন, ‘আমিন খান ও নাদিম নামে আরো দুই নতুন নায়ক আছে। ওদের ট্রাই করেন।’ আমিন তখন আরেকটি ছবির শুটিং করছে। সেটা শেষ না করে নতুন ছবি হাতে নিতে পারবে না। নাদিমও একইভাবে ‘না’ করে দিল। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম, নতুন মুখ পেলে ছবিটি করব, নইলে ছেড়ে দেব। কিছুদিনের মধ্যে মৌসুমীকে চূড়ান্ত করলাম। এরই মধ্যে নায়ক আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনুর জানাল ইমন নামের এক ছেলের কথা। দুই দিন ফোন করেও পেলাম না, তৃতীয় দিন পেলাম। একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে আসতে বললাম। প্রথম দেখাতেই ওকে পছন্দ হলো। ঠিক করলাম, ওকে দিয়ে ‘সনম বেওয়াফা’ করব। কিন্তু ও যখন শুনল ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিটিও আমি করব, তখন বেঁকে বসল, সে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ করবে। কারণ ছবিটি এরই মধ্যে ২৬ বার দেখেছে ইমন। ওর কথা মেনেই হলো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। আর নাম বদলে হয়ে গেল সালমান শাহ। পরের ইতিহাস তো সবার জানাই।