এদিকে ফিলিপাইন সিনেট (সংসদের উচ্চকক্ষ) আগামী মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম এ মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা তদন্ত করবে। আগামী মঙ্গলবার সিনেটের দুটি কমিটি এ বিষয়ে শুনানি ডেকেছে। শুনানিতে আরসিবিসির ওই শাখা ব্যবস্থাপকসহ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়েছে। ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার, অভিযুক্ত তিনটি ক্যাসিনোর মালিক, আরসিবিসি এবং আরও তিনটি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে এ শুনানিতে ডাকা হয়েছে।
মাকাতি শহরে জুপিটার স্ট্রিটে আরসিবিসির শাখা ব্যবস্থাপক দেগুইতো ওই শাখায় সন্দেহভাজন ৫ নাগরিকের হিসাব খোলেন গত বছরের মে মাসে। হিসাব খোলা এবং সেখানে বড় অঙ্কের অর্থ স্থানান্তর-সংক্রান্ত কাজে তিনি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত হিসাবধারীদের ব্যাংক হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের পরিচিতি ভালোভাবে জানা-সংক্রান্ত নিয়ম মানেননি তিনি। দেগুইতোর কাছে আরসিবিসির প্রধান কার্যালয় থেকে ইতিমধ্যে এসব বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) নির্দেশক্রমে তিনি ওই ৮১ মিলিয়ন ডলার ৪ ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আরসিবিসি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নিয়ম-কানুন ঠিকমতো অনুসরণ করলে পাচার হওয়া ওই অর্থ আটকানো যেত। ঘটনা জানার পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ ফেব্রুয়ারি এসব পেমেন্ট স্থগিত করতে আরসিবিসিকে অনুরোধ জানায়। ততক্ষণে তহবিল স্থানান্তর হয়ে গেছে। যে ৪ জনের অ্যাকাউন্টে পাচার করা টাকা ঢোকে তারা সবাই ৫০০ ডলার করে জমা রেখে আরসিবিসিতে অ্যাকাউন্ট খোলেন গত বছরের ১৫ মে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন হয়নি। ফিলিপাইনের কোর্ট অব আপিল (সিএ) মনে করছে, এসব অ্যাকাউন্ট মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যেই খোলা হয়। তাদের হিসাবের কাগজপত্রে কোনো নির্দিষ্ট আয়ের খাত উল্লেখ করা হয়নি।