স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যানের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। মানসম্পন্ন উপাত্ত জবাবদিহি নিশ্চিত করে। এ জন্য এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে শুরু হওয়া ‘স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহি ও সূচক পরিমাপ’ শীর্ষক আন্তর্দেশীয় সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, কম্বোডিয়া, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থাপনায় বলা হয়, স্বাস্থ্য খাতে নজরদারি ও মূল্যায়ন খাতে মোট বরাদ্দের মাত্র ৪ শতাংশ ব্যয় করা হয়। জবাবদিহি বাড়াতে নজরদারি ও মূল্যায়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলা হয়। সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে উপাত্তের চাহিদা নিরূপণ, স্বাস্থ্য উপাত্ত পদ্ধতির উন্নতিতে উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অভিজ্ঞতা বিনিয়ম করার উদ্দেশ্যে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
নেতৃত্ব, সুশাসন ও অংশীদারত্ব–বিষয়ক অধিবেশনে সেভ দ্য চিলড্রেনের (বাংলাদেশ) কর্মকর্তা ইশতিয়াক মান্নান বলেন, উপাত্ত যদি মানুষের জীবন নিয়ে হয়, তা হলে মানুষ সেই উপাত্ত সংরক্ষণ করে। মা নিরক্ষর হলেও উপাত্ত তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি তা ব্যবহার করেন। যেমন স্বাস্থ্যকর্মীর তথ্য তাঁর কাছে থাকে এবং প্রয়োজনে মুঠোফোনে তিনি ঠিকই স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইশতিয়াক মান্নান আরও বলেন, উপাত্ত ছাড়া বাকি সবকিছুই মতামত। উপাত্ত তৈরি ও প্রক্রিয়াজাত করার জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।
এই অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিসংখ্যানবিদ মোসিদি নেলাপো বলেন, ব্যক্তির তথ্য গোপন রাখা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে আইন থাকলে সবচেয়ে ভালো।
একাধিক আলোচক বলেন, উপাত্তের মান ভালো হলে তার চাহিদা অনেক বেশি হয়। আর জাতীয় উপাত্তের মান নির্ভর করে স্থানীয় পর্যায় থেকে আসা উপাত্তের মানের ওপর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি, জার্মানি দাতা সংস্থা জিআইজেড ও হেলথ ডেটা কলাবরেটিভ এ সম্মেলন আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করছে।