প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ে ছিলেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান ধারণ করেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন।
স্থানীয় সময় রবিবার ১০ আগষ্ট, ২০১৫ ইং ১৪:৪৩ মিঃ নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, জাতির পিতা ১৯৪৮ সাল থেকে সব আন্দোলন-সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেন। গোটা জাতিকে ধাপে ধাপে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করেন। এভাবে ১৯৬৬, ৬৮ ও ৬৯ এর পথ বেয়ে সত্তরের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর পরই দেশের প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ শুরু করে। তখনকার বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের বিষয়ে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
এইচ টি ইমাম তার লেখা দু’টি বই ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১’ এবং ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-১৯৭৫’- এর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। তখনকার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। যা ইপিআরের ট্রান্সমিটার, টেলিগ্রাম ও টেলিপ্রিন্টারের মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
এইচ টি ইমাম বলেন, জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র জারির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।
জাতির পিতাকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠিত হয়। স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর দেখানো হয়। এই সরকারই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
এইচ টি ইমাম জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল করার ক্ষেত্রে সরকারের কর্মকাণ্ড বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।