তাবৎ বিশ্বের গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন কোন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে একবার জেনে গেলে সেই মানুষটিকে নিজের ইচ্ছা মতো চালনা করা বাঁ হাতের কাজ। তাই তো আজকের প্রতিযোগিতাময় জীবনে যে কোনোও বাজি জিততে অনেকেই মানুষ চেনার নানা ট্রিক্স শিখতে চান!
কিছু ট্রিক্স আছে যেগুলো খেয়াল করলে, যেকোনো মানুষের চরিত্র বুঝতে পারবেন আপনি। তাহলে চলুন সেই ট্রিক্সগুলো দেখে নেয়া যাক-
কী ধরনের বই পড়তে পছন্দ করে সেদিকে নজর রাখুন
কে কেমন বই পড়ছে, তা দেখে সেই ব্যক্তির মানসিক গঠন সম্পর্কে অনেকাংশেই ধারণা করা সম্ভব। কীভাবে এমনটা সম্ভব? একাধিক সাইকোলজিক্যাল টেস্টের পর বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন যারা ক্ল্যাসিকাল বুক পড়তে পছন্দ করেন, তারা সাধারণ যে কোনও মানুষকে খুব ভিতর থেকে জানার চেষ্টা করেন। উপরে উপরে কাউকে জানতে এদের একেবারেই আগ্রহ থাকে না। তাই এমন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে চাইলে নিজেকে মেলে ধরতে হবে। যত আপনার সম্পর্কে সে জানতে পারবে, তত দেখবেন বন্ধুত্ব গভীরতা খুঁজে পাবে।
অন্যদিকে যারা ফ্যান্টাসি কেন্দ্রিক বই পড়তে পছন্দ করেন, তাদের সাইকোলজিস্টরা “ডে ড্রিমার” হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন। এরা স্বপ্নের জগতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। এদিকে যারা ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে বেশি আগ্রহী থাকেন, তারা যে কোনও বিষয়ে খুঁটিয়ে জানতে খুব ভালবাসেন। শুধু তাই নয়, কারও সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সময়ও তারা একই ভাবে সেই মানুষটির খুঁটিনাটি বিষয় নজরে রাখেন! আর যারা ভূতের বই পড়তে পছন্দ করেন তারা কেমন হয়? এরা অ্যাড্রেনালিন রাশ খুব ভালবাসেন। তাই তো এমন মানুষেরা বেজায় অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়ও হয়ে থাকেন!
হাতের গঠন
বিখ্যাত ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিস্ট হেলেন এলিজাবেথের মতে হাতের গঠন দেখে কোনও মানুষের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা সম্ভব! শুধু তাই নয়, কার জীবনে সুখের সময় চলেছে, না দুখের সে বিষয়েও অনেকাংশে জানা সম্ভব হাতের গঠন লক্ষ করে। আর যদি চরিত্রের প্রসঙ্গে আসেন, তাহলে বলতে হয় যাদের হাতের তালু খুব চওড়া হয়, তারা যে কোনও সমস্যাকে সামনে থেকে ফেস করতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে নিজের মনের কথা বলতে এরা একেবারেই অপারগ হন। তাই এমন কোনও মানুষকে ভালবেসে থাকলে তার মনের কথা জানার জন্য অপেক্ষা না করে আপনাকেই কিন্তু এগিয়ে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, যাদের হাতের তালু গোলাকার হয় এবং আঙুল হয় ছোট ছোট তারা খুব সাহসী হন, সেই সঙ্গে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেও এরা খুব ভালবাসেন। অন্যদিকে, যাদের হাতের তালু হয় আয়তক্ষেত্রাকার, তারা বেজায় বাস্তববোধ সম্পন্ন হন। শুধু তাই নয়, যে কোনও বিষয়কে পরখ করে তবে তা গ্রহণ করতেই এরা বেশি পছন্দ করেন! আর যাদের হাতের আঙুল খুব লম্বা লম্বা হয় এবং তালু হয় ছোট, তারা মূলত শৈল্পিক মনের অধিকারী হয়ে থাকেন।
কতক্ষণ অন্তর অন্তর ফোন চেক করেন?
শুনতে অবাক লাগলেও একথা একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে গেছে যে যারা মানসিকভাবে খুব অস্থির অবস্থায় থাকেন, তারাই মূলত বারে বারে মোবাইল চেক করে থাকেন। তাই কোনও বন্ধুকে এমনটা করতে দেখলে তার পাশে থাকতে ভুলবেন না যেন!
চোখে চোখ মিলিয়ে কথা বলছে কি?
কোনও নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ করার সময় খেয়াল করে দেখবেন তো তিনি আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন কিনা! কেই যদি চোখ মিলিয়ে কথা না বলেন, তাহলে জানবেন তিনি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন অথবা মানসিকভাবে একেবারেই ভাল অবস্থায় নেই। সেই কারণেই এতটাই আত্মবিশ্বাস কমে গেছে যে চোখ চোখ রেখে কথা বলার সাহসটুকুও জোটাতে পারছেন না! এদিকে যারা সব সময় চোখে চোখ মিলিয়ে কথা বেলন, তারা খুব আত্মবিশ্বাসী হন, এমনটাই ধরনা বিশেষজ্ঞদের।
হ্যান্ডশেক!
কে কোনভাবে হ্যান্ডশেক করছে, তার উপরও তার চারিত্রিক গঠন অনেকাংশে নির্ভর করে। যেমন ধরুন যারা খুব শক্তভাবে হাত ধরে হ্যান্ডশেক করেন, তারা খুব স্ট্রং পার্সোনালিটির হন। অন্যদিকে যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন, তারা কোনও মতে হাতের তালু পাকড়ে করমর্দন সারার চেষ্টা করেন! এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে যারা খুব হালকা চাপ দিয়ে খুব সুন্দরভাবে হাত মেলান, তারা মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালবাসেন, শুধু তাই নয়, নিজের মনের কথা খুলে বলতে বাস্তবিকই এদের জুড়ি মেলা ভার।