চুল নিয়ে সব চাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা। বিশেষ করে এই বর্ষাকালে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সহসা চুল শুকাতে না চাওয়ার কারণে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ছোট্ট দু’টি সমাধান জেনে নিন।
১. নারকেলের দুধ :
নারকেলের দুধ চুলের ভেতর থেকে চুলকে মজবুত করতে সহায়তা করে। চুলের সঠিক ন্যারিশমেন্টের জন্য নারকেল দুধের বিকল্প নেই। এছাড়াও নারকেলের দুধ ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
– প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিন। এরপর এই কোরানো নারকেল Coconut ব্লেন্ডারে বা গ্রাইন্ডারে অথবা পাটায় বেটে নিন ভালো করে।
– এরপর পিষে বা বেটে নেয়া নারকেল একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে রেখে চিপে ভালো করে নারকেলের দুধ বের করে নিন। (নারকেলের দুধ বের করার পর নারকেল Coconut ফেলে না দিয়ে চিনি বা গুঁড় মিশিয়ে মিষ্টি খাবারে ব্যবহার করতে পারেন)
– প্রয়োজনে প্রতিদিন এই নারকেলের দুধ Coconut milk চুলের গোঁড়ায় ভালো করে ম্যাসেজ করে নেবেন। অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে প্রতিদিন ব্যবহার করুন, যদি অতিরিক্ত না হয় তাহলে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাবেন।
২. মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা Mehdi page বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের egg সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক hair pack তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া Orthodox Hair থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল Hair ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া Hair fall অনেকাংশে কমে যাবে।