তেল নিয়ে কতই না চর্চা হয়। তেলচর্চা বললেই যে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় খেলে, এ তো নতুন নয়। তবে ত্বকের যত্নে তেলচর্চা বিষয়টা মন্দ নয়। আমন্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), অলিভ অয়েল, গোলাপের তেল, সরষের তেল, নিমের তেল, জাফরান, গম, লবঙ্গ কিংবা নারকেল তেল মাথা থেকে পা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। ত্বকে এসব তেল ব্যবহারের উপকারিতা নিয়ে আমর কথা বলেছিলাম হারমনি স্পা ও ক্লিওপেট্রার স্বত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তেল মালিশ করার সময় শরীরে রক্তের সঞ্চালন বেড়ে যায়। যা ত্বককে সুস্থ ও সজীব রাখে। হজম ভালো হয়। সুগন্ধি তেল ব্যবহার করলে রাতে ভালো ঘুম হয়। চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।’
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তেল ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। সকালে গোসলের আগে তেল ব্যবহার করলে শরীরের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। এরপর বডি ওয়াশ বা মৃদু ক্ষারের সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। কালো জিরার তেল, গোলাপের তেল, জাফরান ও গমের তেল উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এসব তেল সরাসরি ব্যবহার করতে না চাইলে গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকে সজীবতা ধরে রাখতে
সুস্থ ও সজীব ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আর্দ্রতা। ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা অনেক কমে যায়। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল, আমন্ড তেল, সরিষার তেল ও নারকেল খুব কার্যকর। এসব তেল চুলের জন্যও উপকারী। চুলের রুক্ষতা কমাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক বেশি রুক্ষ হলে তিন দিন শরীরে তেল ব্যবহার করলে ভালো। এসব তেল ত্বকের গভীর থেকে ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করে।
ব্রণ কমাতে ও কালো দাগ দূর করতে
ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ কমাতে, বিশেষ করে ব্রণের জন্য কার্যকরী হলো নিমের তেল ও লবঙ্গের তেল। তবে চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে প্রতিদিন আমন্ড তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকেও তেল
অনেকে মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে তেল ব্যবহার করা যাবে না। এটি পুরোপুরি ঠিক নয়। তেল ব্যবহার করার পাঁচ মিনিট পর নরম সুতির কাপড় ভিজিয়ে তেল মুছে নিতে হবে ত্বক থেকে। এরপর গোসল করলে কোনো সমস্যা হবে না। ছুটির দিনে বা রাতের দিকে তেল দিয়ে ত্বকচর্চা করতে পারেন। গরমে তেল দিয়ে বের হলে অস্বস্তি লাগতে পারে।